নিজস্ব প্রতিবেদক: সার্চ কমিটির কার্যক্রম চলার মধ্যে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারের পদগুলো কয়েক দিনের জন্য শূন্য থাকলে সাংবিধানিক কোনো জটিলতা ‘নেই’ বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে আজ। কিন্তু আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটির হাতে ইসি গঠনে সময় রয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে যাচাই-বাছাই করে আইনের বিধান অনুসারে যোগ্য ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে সার্চ কমিটি। সেখান থেকে পাঁচজনকে নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেবেন রাষ্ট্রপতি।
কিন্তু আজকের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ না হলে নির্বাচন কমিশনের পদগুলো সাময়িকভাবে শূন্য থাকবে। তাতে সাংবিধানিক কোনো জটিলতা তৈরি হবে কি নাÑসেই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আইনমন্ত্রীর কাছে।
জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘সংবিধানে ও আইনে এ রকম শূন্যতার কথা, শূন্য থাকতে পারবে নাÑএমন কথা নেই। আগামীকাল (আজ) এ কমিশনের সময়কাল পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তার পরও যদি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বিলম্ব হয়, সেটা শূন্য থাকবে। আইনে শূন্যতা হিসেবে গণ্য হবে।’
তবে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে নতুন কমিশন না আসা পর্যন্ত বর্তমানদের দায়িত্ব অব্যাহত রাখারও সুযোগ নেই বলে জানান মন্ত্রী।
‘সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা রয়েছে, তারা পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। পাঁচ বছর শেষ হয়ে গেলে এমন কথা নেই, যারা স্থলাভিষিক্ত হবেন তারা না আসা পর্যন্ত (বর্তমানে যারা রয়েছেন তারা) দায়িত্বে থাকবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নতুনরা না আসা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন বন্ধ হয়ে যাবে, এমন নয়। প্রশাসনিক দায়িত্বটা পালন করবে ইসি সচিবালয়। নতুন ইসি এলেই নির্বাচনের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।’
সার্চ কমিটির দায়িত্ব পালন শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন পাওয়ার আশা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান কমিশন তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে বলেই তিনি মনে করেন।
গতকাল ঢাকার একটি হোটেলে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান এবং ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (বাংলা পাঠ)’ ও ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১’-এর মোড়ক উম্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুই নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন।