নিজস্ব প্রতিবেদক: র্যাব এবং এর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দেশটিতে আইনজীবী নিয়োগের ভাবনা থেকে এ বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তাদের পদক্ষেপের কথা জানায়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি সেখানে আমাদের দূতাবাস আগে থেকে কেন জানতে পারেনি? তারা তাদের মতো ব্যাখ্যা দিয়েছে। বলছে, করোনাভাইরাসের কারণে গ্যাপ তৈরি হয়েছিল।’
সংসদীয় কমিটি লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেটা নিয়ে কাজ করছে। এর বাইরে পিআর ফার্ম, আইনজীবী নিয়োগের কথাও বলেছে।’
‘আমরা এ বিষয়ে বলেছি, যা যা করার করুক। দরকার বলে বাজেট বাড়িয়ে নিক। ফান্ড লাগলে বলুক। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নে যে জায়গায় আছে, সেখানে এ ধরনের অনেক কথাবার্তা আসবে।’ গতকালকের বৈঠকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এর আগে গত ৫ জানুয়ারির বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিল সংসদের এই কমিটি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমদসহ বাহিনীর ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে সরকারের অবস্থান জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।