নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনেতারা যখন কপ বা জলবায়ু-সংক্রান্ত সম্মেলনে বসবেন, তখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আইনি নীতিমালা তৈরি করতে হবে। অন্যথায় বিশ্বের মানুষ এক বিশাল পরিবেশ বিপর্যয়ে পড়বে। আমাদের নদীগুলো বাঁচাতে না পারলে নদীমাতৃক বাংলাদেশের মাকেই মেরে ফেলা হবে। এ জন্য নদী রক্ষায় আইনের বাস্তবায়নে সবার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের দূষণবিরোধী অ্যাডভোকেসি প্রকল্পের আয়োজনে নদী রক্ষায় আইন শীর্ষক ষষ্ঠ নদী কথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী ওয়াশপুরে এই নদীকথন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নদীকথনে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও ব্লু প্লানেট ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ড. সৈয়দা নাসরিন, নদীপাড়ের কমিউনিটির প্রতিনিধি সারমিন রহমান ও মানিক হোসেন। এছাড়া নদী দূষণ রোধে কাজ করেন এমন স্থানীয় কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
শরীফ জামিল বলেন, নদীর সঙ্গে অনেক জীবসত্তার সম্পর্ক। নদীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে নদীর ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। অধ্যাপক মোহাম্মাদ গোলাম সারোয়ার বলেন, যেখানে কারখানা আছে সেখানে পরিবেশ দূষণ ঘটবে। আইনের মাধ্যমে সেটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সেই নিয়ন্ত্রণ নেয়ার যত উপাদান, তা আমাদের আইনেই রয়েছে। তিনি বলেন, নদী রক্ষার জন্য একটি কমিশন করা হয়েছে। সেই কমিশন সুপারিশ করতে পারে। কিন্তু কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না। এটি দন্তহীন বাঘে পরিণত হয়েছে। ড. সৈয়দা নাসরিন বলেন, নদী রক্ষায় আদালতের ভূমিকা সব সময় ইতিবাচক। কোর্ট ইতোমধ্যে নদী রক্ষায় অনেক যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। বর্তমানে অবৈধ দখল-দূষণ যেটুকু কমেছে, সেখানে আদালতের ভূমিকা রয়েছে।