ক্রীড়া ডেস্ক: ভারতের অভিজ্ঞ টপ অর্ডার ব্যাটার রবিন উথাপ্পা বলেছেন, আইপিএলের নিলাম প্রক্রিয়া তার কাছে ভালো লাগছে না। তার কাছে মনে হয়, নিলামে তোলা প্রত্যেক খেলোয়াড়ই এক অর্থে হাটে তোলা গরু ছাগলের মতো!
নিউজ নাইন স্পোর্টসের সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান মাইন্ড ওভার মেডেলসের অষ্টম পর্বে এসব নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন উথাপ্পা। তিনি বলেন, নিলাম ব্যবস্থাটাকে একটা পরীক্ষার মতো মনে হয় আমার। যে পরীক্ষায় অনেক দিন আগে লিখেছেন আপনি, এরপর থেকে শুধু ফলাফলের অপেক্ষাই করে চলেছেন। এ অনুভূতিটা মোটেও সুখকর নয়। সত্যি বলতে, এই ব্যবস্থায় নিজেকে গবাদি পশু বলে মনে হয়। গোটা বিশ্ব আপনাকে যেখানে উপভোগ করছে। পারফর্ম্যান্স নিয়ে মতামতটা এক ব্যাপার, কিন্তু আপনাকে নিয়ে দরকষাকষি হচ্ছে, সেটা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।
উথাপ্পার মতে, এই ধরনের নিলাম একজন প্লেয়ারকে মানসিকভাবে সজোরে ধাক্কা দেয়। এই নিলাম পদ্ধতি একজন প্লেয়ারের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই সঠিক নয়। তাই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের খেলোয়াড় টানা নিয়ে চলমান ব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবি তোলেন তিনি। আরও ভালো কোনও ব্যবস্থা প্রচলনের আহ্বান জানান উথাপ্পা।
ভারতীয় এই উইকেটরক্ষক এখানেই থামেননি। নিলামে যারা অবিক্রীত থাকেন তাদের মনে তখন কী চলে সেটারও ব্যাখ্যা দিয়ে উথাপ্পা বলেন, যারা নিলামে কোনো দল পায় না, কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যাদের দলে টানার আগ্রহ দেখায় না, তাদের মনের ভেতর কী যায়, তা অন্যের পক্ষে বোঝা অসম্ভব। এটা কখনও সুখকর কিছু নয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও যারা দল পায় না, তাদের জন্য আমার খুবই খারাপ লাগে। এটা হতাশার। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আপনার জন্য কত অর্থ খরচ করতে রাজি, তার ওপর ভিত্তি করে হঠাৎই ক্রিকেটার হিসেবে আপনার একটা মূল্য ঠিক হয়ে যায়।
১৫ বছর ধরে চলা এমন নিলামের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকেন তারাও জানেন না কীসের ওপর ভিত্তি করে খেলোয়াড়দের দাম ওঠানামা করে উল্লেখ করে ভারতীয় এই ব্যাটার আরও যোগ করেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে এই ব্যবস্থাটা চালু রেখেছে সবাই। এ নিয়ে তাদের কোনো ধারণা আছে বলে মনে হয় না। নিলামে যারা উপস্থিত থাকে, তাদের সঙ্গে কথা বললেই বোঝা যায়। কেউ আগে ডাক পেয়ে অনেক টাকা পায়, আবার কেউ পরে ডাক পেয়েও অনেক টাকার মালিক হয়ে যায়।’
উল্লেখ্য, এই বছর আইপিএলের মেগা নিলামে মোট ৫৯০জন খেলোয়াড় নিলামে অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে মাত্র ২০৪ জন প্লেয়ারকে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনেছে। বাকিরা পরের বছর তাদের ভাগ্য পরীক্ষা করার আশায় রয়েছেন।