শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনার পারদ যতই চড়ছিল, ইউক্রেনে বাড়ছিল অস্ত্র কেনার হিড়িক। হামলার আশঙ্কায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নাগরিকদের অস্ত্র কেনার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এ হিসেবে রুশ হামলার আগে থেকেই ইউক্রেনের নাগরিকরা অস্ত্র ও গুলি কেনা শুরু করেন। এতে রমরমা হয় অস্ত্র ব্যবসা। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
গতকাল ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনে সামরিক শাসন জারি করা হয়েছে।
সম্ভাব্য হামলার আগে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট অস্ত্র-সংক্রান্ত একটি খসড়া আইন অনুমোদন করে। এ আইনের আওতায় নাগরিকদের অস্ত্র নিয়ে চলাফেরার সুযোগ দেয়া হয়। অথচ এর আগে কোনো অস্ত্র নিয়ে বাড়ির বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
ইউক্রেনের স্কুলগুলোয় ছাত্রছাত্রীদের অস্ত্র চালানো শেখানো হয়। দেশটির প্রায় চার লাখ মানুষের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করার সময় এ অভিজ্ঞতা হয় তাদের। তবে এবার রাশিয়ার হামলার আগে আগে নাগরিকদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। অস্ত্রের দোকানগুলোয় এআর-১০, এআর-১৫-এর মতো রাইফেলগুলোর চাহিদা বেড়ে যায়। অস্ত্রের দোকানগুলোর সামনে বড় ধরনের ভিড় দেখা গেছে।
অস্ত্র কিনতে আসা অনেক ব্যক্তি জানান, পরিস্থিতি নিয়ে সবাই শঙ্কিত। যদিও তারা ভালো কিছুর আশা করছেন, কিন্তু সব পরিণতির জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
ছয় মাস আগে মস্কোর সঙ্গে কিয়েভের সম্পর্ক নাজুক হতে শুরু করে। সেই থেকে আতঙ্কে রয়েছেন ইউক্রেনের অনেক নাগরিক। মূলত তারাই এখন রাষ্ট্রীয় ঘোষণার পর অস্ত্র কিনতে ভিড় করছেন। নাগরিকদের অস্ত্র ও গুলি কেনার কথা জানে পুলিশ। চলতি
মাসে ১০ হাজার নতুন অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। দেশটিতে এখন সব মিলিয়ে সাত লাখের বেশি মানুষের বৈধ অস্ত্র রয়েছে রয়েছে বলে জানায় দেশটির পুলিশ।