নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মূল্য সূচকের বড় পতনে লেনদেন হয়েছে। সিংহভাগ কোম্পানির দরপতন দেখা গেছে। তবে বিক্রয় চাপের কারণে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। এদিন লেনদেন ও দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত।
এদিন ডিএসইতে ৩৭৭টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৩০টির, কমেছে ৩২৬টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২১টির। বাজার বিশ্লেষণ ও সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রির কারণে এমন পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। প্রচণ্ড বিক্রয় চাপে লেনদেন আগের কার্যদিবসের চেয়ে বাড়তে দেখা গেছে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৫০ কোটি ২৮ লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৬২ কোটি ৪২ লাখ টাকা বেশি।
এই লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বস্ত্র খাত। মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। শুধু লেনদেন নয়, সর্বোচ্চ ১৫টি কোম্পানির দর বৃদ্ধি দেখা গেছে খাতটিতে। আর কোনো খাতে এত বেশিসংখ্যক কোম্পানির দর বৃদ্ধি দেখা যায়নি।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। মাত্র তিন শতাংশ কোম্পানির দর বৃদ্ধি হয়েছে। বিবিধ খাতে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ ও প্রকৌশল খাতে ১০ দশমিক ২১ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। খাত দুটিতে যথাক্রমে আট ও চার শতাংশ কোম্পানির দর বৃদ্ধি দেখা গেছে। এই চারটি খাতের বাইরে আর কোনো খাতের লেনদেন ১০ শতাংশ ছাড়ায়নি। পরের অবস্থানে থাকা খাতগুলোর ক্ষেত্রে যথাক্রমে খাদ্য খাতে সাত দশমিক ৬৮, ব্যাংক খাতে ছয় দশমিক ৮৩, জ্বালানি খাতে চার দশমিক ৯৪ ও সাধারণ বিমা খাতে চার দশমিক ৪৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। বাকি খাতের লেনদেন চার শতাংশের নিচে ছিল।
গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ছয় হাজার ৮৩৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২২ পয়েন্ট ও ডিএস৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমেছে।
সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক আট শতাংশ কমেছে, যার কারণে সূচক হারিয়েছে ২৮ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট। এছাড়া সূচক কমিয়েছে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো, স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জহোলসিম, রবি, পাওয়ার গ্রিড, ওরিয়ন ফার্মা, তিতাস গ্যাস, ব্র্যাক ব্যাংক ও বিএসআরএম স্টিল। সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক নামিয়েছে ৫৩ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট।
বিপরীতে সূচক টেনে তোলার চেষ্টায় ছিল ওয়ালটন হাইটেক, বেক্সিমকো সুকুক, অলিম্পিক, বিকন ফার্মা, প্যাসিফিক ডেনিম, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, ড্রাগন সোয়েটার, রিং শাইন, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও এভিন্স টেক্সটাইল লিমিটেড। সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে আট দশমিক ২৪ পয়েন্ট।