শেয়ার বিজ ডেস্ক: এখনই যুদ্ধে জড়াচ্ছে না ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। তবে রুশ আগ্রাসনের দিকে নজর রেখে মিত্র দেশগুলোয় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হবে। প্রস্তুত রাখা হবে সেনা ও যুদ্ধবিমান। ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এমনই জানিয়েছে ন্যাটো। খবর: ডয়েচে ভেলে।
যুদ্ধে জড়ানোর পরিবর্তে কিয়েভকে ‘রাজনৈতিক’ ও ‘বাস্তবিক’ সাহায্য করবে ন্যাটো বলে জানায় ডয়েচে ভেলে। রুশ বাহিনী কিয়েভে প্রবেশ করার পর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে ন্যাটোর সদস্যরা। দীর্ঘ বৈঠক শেষে বিবৃতি জারি করা হয়। যার মূল বক্তব্য, রাশিয়ার আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করছে ন্যাটো। কোনো যুদ্ধ, আগ্রাসনকে ন্যাটো সমর্থন করে না। এই পদক্ষেপের জন্য রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক এবং রাজনৈতিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রুশ আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখে ন্যাটোর বিমানবাহিনীকে তৈরি রাখা হচ্ছে। প্রস্তুত থাকবে ন্যাটোর পদাতিক বাহিনীও। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোয় আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। নৌপথেও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সম্পত্তি রক্ষা করা হবে।
রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে স্পষ্টভাবে কোনো তথ্য জানায়নি ন্যাটো। তাদের তরফে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও বাস্তবিক সাহায্য করা হবে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয় ন্যাটো।
পাশাপাশি, ইতোমধ্যে রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার চারটি ব্যাংকের সম্পত্তি ফ্রিজ করেছে বাইডেন প্রশাসন। এবার আরও কঠোর পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে আমেরিকা। পরবর্তী সময়ও এ ধরনের পদক্ষেপকে সমর্থন করবে ন্যাটো। সবমিলিয়ে ন্যাটোর কাছ থেকে আপাতত সাহায্যের আশ্বাস ছাড়া আর কিছু পেল না ইউক্রেন।
এর বাইরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে ন্যাটো প্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।