নিজস্ব প্রতিবেদক: প্যাকেজিং কাগজের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের অযৌক্তিক ও একপেশে অপরিবর্তিত রাজস্বনীতির কারণে লোকাল প্যাকেজিং শিল্প ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ লোকাল কার্টন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এ দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সভাপতি এম এ বাসার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় শিল্পকারখানায় কার্টনের চাহিদা বাড়ছে। তারপরও কাগজকল মালিকদের স্বেচ্ছাচারী মনোভাবে প্রতি বছর কাগজের মূল্য বৃদ্ধির ফলে এরই মধ্যে কিছু প্যাকেজিং শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি এ শিল্প দীর্ঘদিন থেকে অসম ভ্যাট-ট্যাক্স নীতির শিকার।’
এম এ বাসার বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ মার্চ হঠাৎ করে কাগজের দাম টনপ্রতি ১০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় লোকাল কার্টন শিল্প মালিকরা লাখ লাখ টাকা লোকসান করেছে। সেই ধকল কাটিয়ে না উঠতেই সরকার ৫৬.৫ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি করে ওই অর্থবছরে (২০১৯-২০)। যা তখন প্যাকেজিং শিল্পের ওপর একপেশে হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমদানিনীতিতে লোকাল প্যাকেজিং শিল্পের জন্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১০ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি এবং ৫ শতাংশ এএইটি আরোপ করে লোকাল প্যাকেজিংয়ের জন্য বাইরে থেকে কাগজ আমদানির সুবিধাও কঠোর করে রেখেছে। যে আমদানি নীতিকে পুঁজি করে দেশি কাগজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো একচেটিয়া অনৈতিক ব্যবসা করছে। এ পুঁজিবাদীদের সুযোগ দেওয়ার কারণে চলতি অর্থবছরে প্রথম ৫ মাসে সরকারের রাজস্ব আদায় কমপক্ষে ২৭ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে।
এ অবস্থায় সংগঠনের পক্ষে তিনি বেশ কিছু দাবি পেশ করে বলেন, ‘প্যাকেজিং শিল্প ১৫% বা আদর্শ হারে ভ্যাট প্রদান করে, তাই উৎপাদনে ব্যবহƒত কাঁচামালের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ হওয়া বাঞ্ছনীয়। কাঁচামাল ক্রয়ে যেহেতু আমরা নিট মূল্যের ওপর ভ্যাট প্রদান করি, তাই প্যাকেজিং পেপারের ভ্যাট ৫-৭.৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য উৎসে আয়কর কর্তন বাতিল করার বিশেষ অনুরোধ করছি। প্রতি বছর অযৌক্তিকভাবে কাগজের মূল্য বৃদ্ধি করে অতি মুনাফা অর্জনের নিয়ম বন্ধ করার নীতি প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।’