নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘পিক আওয়ারে’ দেশের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ রাখার সময় আরও এক ঘণ্টা বাড়িয়েছে সরকার। গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার এক জরুরি বার্তায় বলা হয়েছে, সারাদেশে সব সিএনজি স্টেশনে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত গতকাল থেকে কার্যকর শুরু হয়েছে।
এতদিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হতো। গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে এ নিয়ম চলছিল। এখন তা আরও এক ঘণ্টা বাড়ল।
নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে, সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে পেট্রোবাংলার বার্তায়।
পাশাপাশি সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোয় গোপনে অভিযান চালাতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে ত্রুটি ও কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্রে সংস্কার কাজের কারণে গত সেপ্টেম্বরে গ্যাসের উৎপাদন কমতে শুরু করে।
প্রায় এক হাজার এমএমসিএফডি এলএনজি সরবরাহ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি এফএসআরইউ বা ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গত জানুয়ারির মাঝামাঝি গ্যাস সরবরাহ হচ্ছিল মাত্র ৪০০ এমএমসিএফডি।
অবশ্য সম্প্রতি এলএনজি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে; এখন প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে ৫৩২ এমএমসিএফ। আর দেশে সার্বিক গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে দৈনিক ২৮৪৬ এমএমসিএফডি।
বিদ্যুতের বড় একটি জোগান আসে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে। দেশে এখন ১০ হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও শুকনো মৌসুমে তা বেড়ে সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।
সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ গুলোয় ৭৭৩ এমএমসিএফডি গ্যাস ব্যবহার হয়েছিল, যদিও গত জানুয়ারির মাঝামাঝি বিদ্যুৎকেন্দে গ্যাসের ব্যবহার ছিল ৭০০ এমএমসিএফডি।
গত বছর এপ্রিলের শেষ দিকে দেশের বিদ্যুৎকেন্দ গুলোয় এক হাজার ২৪৩ এমএমসিএফডি গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেই হিসাবে এবার গ্যাসের ব্যবহার আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশে বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কারসহ চার চাকার যানবাহনগুলোয় সিএনজির ব্যবহার কিছুটা কমে এলেও তিন চাকার যাত্রীবাহী সবুজ অটোরিকশাগুলো সম্পূর্ণ সিএনজির ওপর নির্ভরশীল।
