শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের হামলার সমান বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন। খবর: নিউজ১৮।
১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে অস্ত্র দিয়ে আফগানিস্তানের মুজাহিদিন যোদ্ধাদের সহায়তা করেছিল, সেভাবে কিয়েভকেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অস্ত্র সহায়তা দিলে একই ধরনের ফল পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন এমএসএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন হিলারি ক্লিনটন। এ সময় আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের হামলার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
তিনি বলেন, স্বতঃপ্রণোদিত প্রতিরোধের ফলে রাশিয়ানরা আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের জন্য সুখকর হয়নি। তবে ওই যুদ্ধের ফলে আল কায়দার উত্থান হয় বলে জানান তিনি। এ সশস্ত্র গোষ্ঠীই ৯/১১ হামলার জন্য দায়ী বলে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক যোদ্ধাদের অস্ত্র সরবরাহ করা উচিত বলে মনে করেন হিলারি। তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র দেয়া যেতে পারে। এটা ঠিক যে, রাশিয়ার সামরিক শক্তি অপ্রতিরোধ্য, কিন্তু আফগানিস্তানে হামলার সময়ও তারা অপ্রতিরোধ্যই ছিল। এছাড়া যথেষ্ট শক্তিশালী বিমানবাহিনী নিয়েও সিরিয়ায় সরকারবিরোধীদের পরাজিত করতে রাশিয়ার বছরের পর বছর লেগেছে বলে জানান হিলারি।
১৯৭৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর আফগানিস্তানে হামলা করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। আফগানিস্তানের কমিউনিস্ট সরকারের সহযোগিতায় কমিউনিস্টবিরোধী মুসলিম গেরিলাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ায় দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র অপারেশন সাইক্লোন প্রোগ্রামের আওতায় আফগানিস্তানে ইসলামপন্থী যোদ্ধাদের বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করা হয়। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ যুদ্ধ চলে। এরপর আফগানিস্তান থেকে বিতাড়িত হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। এর দুই বছরের মাথায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তিন প্রজাতন্ত্রÑরাশিয়া, ইউক্রেন ও বেলারুশের নেতারা সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য গোপনে একটি চুক্তিতে সই করেছিলেন। চুক্তিটি হওয়ার পর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচভ পদত্যাগ করেন এবং তার জের ধরে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।