শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। তবে এতে উদ্বেগের কিছু নেই বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকে চমকে দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এই অপ্রত্যাশিত যুদ্ধে বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। সঙ্গে রয়েছে সরবরাহ সংকট।
তেল ও গ্যাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) শুরুর দিকে রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দ্বিধায় ছিল। তাদের সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা জানান, রাশিয়া থেকে তেল না কিনলে বিশ্বে তেমন প্রভাব পড়বে না।
বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদন হয় রাশিয়ায়। দেশটি বিশ্ব চাহিদার মোট ১০ শতাংশ তেল সরবরাহ করে। সম্প্রতি ইইউর অনেক দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা কমিয়ে দিয়েছে। কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে বাদ দিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা রাশিয়ার বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার রপ্তানিকারকরা ব্যারেলপ্রতি ২০ ডলার ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে আশানুরূপ সাড়া দিচ্ছে ইইউ।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি তেল ভোক্তাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতি চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। তবে তা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপজনিত নয় বলে জানান বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুয়েল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (এএফপিএম) জানায়, ২০২১ সালে রাশিয়া থেকে গড়ে প্রতিদিন দুই লাখ নয় হাজার ব্যারেল ক্রুড তেল আমদানি করে তারা। এ ছাড়া প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য দেশটি থেকে আমদানি করা হয়। চলতি বছর আমদানি করা না হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর তেমন প্রভাব ফেলবে না। কোনো মারাত্মক সমস্যা দেখা দিলে দেশটির রিজার্ভ পেট্রোলিয়াম থেকে চাহিদার জোগান দেয়া যাবে।