এফএটিএফ থেকে বের হতে পারল না পাকিস্তান

শেয়ার বিজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়ার অভিযোগে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ), যার মেয়াদ আগামী জুন পর্যন্ত বহাল রাখা হয়েছে। গোটা বিশ্বে অর্থপাচার তথা সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত-সংক্রান্ত বিষয়টি দেখভাল করে এ সংস্থা। খবর: ডন।

এর আগেও পাকিস্তানকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছিল এফএটিএফ। চলতি বছর আবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়ার অভিযোগ করল এই সংস্থা। ইসলামবাদ বারবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে এফএটিএফের ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। নতুন বছরেও সেই তালিকা থেকে বের হতে পারল না দেশটি।

একই সঙ্গে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেয়া বন্ধ করতে বলল এফএটিএফ।

লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই-মোহাম্মদের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে আর্থিক মদত দেয়ার জন্য ২০১৮ সালে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত সংস্থাটি। এ বিষয়ে সংস্থার তরফে দেশটির সরকারকে একাধিকবার হুঁশিয়ারিও করা হয়। সংস্থার তরফে সেই সময় বলা হয়, ভবিষ্যতে তাদের (পাকিস্তান) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তখন ২০১৯ সালের অক্টোবরের মধ্যে তাদের বেঁধে দেয়া শর্তগুলো পূরণ করার জন্য চাপ দিয়েছিল এফএটিএফ। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তা পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তান। ফলে ওই তালিকায় রেখে দেয়া হয় তাদের। একই সঙ্গে হুশিয়ার করা হয়, ২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যে সব শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। যদিও ওই সময়ের মধ্যে শর্তপূরণ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। সাম্প্রতিককালেও পরিস্থিতি বদলায়নি। পাকিস্তানকে কালো তালিকায় না রাখার দায় চীনের। তাদের কারণেই পাকিস্তানকে এখনও ধূসর তালিকায় রাখা হয়েছে।

তবে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এফএটিএফের দেয়া ৩৪টি শর্তের মধ্যে ৩২টি পূরণ করেছে ইসলামাবাদ। এর পরও তাদের ধূসর তালিকায় কেন রাখা হয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভে ফুসছে কর্তৃপক্ষ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০