শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের অর্থনৈতিক নিষিধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। এ কারণে বাড়ছে তেলের দাম, যা ১১৮ ডলার ছাড়িয়ে গেল। এ দর ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ। খবর: সিএনএন।
রাশিয়ার ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞায় গ্যাসের দাম বাড়ছে, বাড়ছে খাদ্যপণ্যের দাম। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েই চলেছে। ১০ দিন ধরে তেলের দাম বাড়ছেই। সংকট চলতে থাকলে শিগগির তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৫০ ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ে ছয় ডলার ৮১ সেন্ট। এর আগের দিন শুক্রবার তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম বড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭ দশমিক ৬৫ ডলার, যা আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১১৮ ডলার ১১ সেন্টে। একই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম আট ডলার এক সেন্ট বা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে স্থির হয় প্রতি ব্যারেল ১১৫ ডলার ৬৮ সেন্টে, যা ২০০৮ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর প্রথম সপ্তাহে বিশ্ববাজারে ব্রেন্টের দাম বাড়ে অন্তত ২১ শতাংশ। এ সময় ডব্লিউটিআই’র দাম বেড়েছে ২৬ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করেছে কানাডা। রুশ তেলের বৃহত্তম আমদানিকারক চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের অনেক ব্যবসায়ী নিষেধাজ্ঞার ভয়ে রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেনে অনীহা প্রকাশ করেছেন। একই পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নাগরিকরা রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করতে চান। এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদিত হয় রাশিয়ায়। দেশটি বিশ্ব চাহিদার ১০ শতাংশ তেল সরবরাহ করে থাকে।
