নিজস্ব প্রতিবেদক: সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেল গঠন এবং নীতিমালা তৈরি করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, সৈয়দ মহিদুল কবীর ও মোহাম্মদ উল্লাহ এ রিট দায়ের করেন। বাণিজ্য সচিব, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ৩ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন তিন আইনজীবী। তারা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সয়াবিন তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২ মার্চ বাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম রাখা হয়েছে ১৭৫ টাকা। অথচ সরকার এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
আদালত আইনজীবীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় রিট করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী গতকাল রিট করেছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
এদিকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে সয়াবিন তেল বিক্রির অপরাধে পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের চার প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল, ফাহমিনা আকতার ও মাসুদুর রহমান।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌলভীবাজারের মুসলিম স্টোরকে ৫০ হাজার, মুসলিম অ্যান্ড ব্রাদার্সকে ১০ হাজার, ঢাকা ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার ও জব্বার স্টোরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাদের অপরাধ হলো মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ের বেশি দামে সয়াবিন ও পাম ওয়েল বিক্রি করা। মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘বাজারের সরবরাহ যেন ঠিক থাকে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি হয় সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজ অভিযান চালিয়ে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা ৮ তারিখ বৈঠক করব। পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন মিল মালিকদের কাছে গত ৩ মাসের তথ্য চেয়েছি।’