৭৭ ঋণখেলাপিকে হাইকোর্টে হাজিরের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঋণখেলাপির ঘটনায় বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফএসএল) ও নাহার ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির চেয়ারম্যান, এমডি ও পরিচালকসহ মোট ৭৭ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ১১ এপ্রিল তাদের সবাইকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

গতকাল বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে পিপলস লিজিংয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান।

এর আগে ২০২১ সালের ২১ জুন পিপলস লিজিংয়ের পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১ জন আমানতকারী হাইকোর্টে আবেদন জানান। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৮ জুন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য একটি বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।

আদালতে আমানতকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আহসানুল করিম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম। পিএলএফএসএলের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠিত বোর্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত ১০ সদস্যের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামাল উল আলম চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া সরকারের সাবেক সচিব আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার, জেলা ও দায়রা জজ (অব.) হাসান শাহেদ ফেরদৌস, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হালিম চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার (অব.) কাজী তাওফিকুল ইসলাম, এফসিএ নূর-ই খোদা আব্দুল মবিন ও মাওলা মোহাম্মাদ, প্রতিষ্ঠানটির সঞ্চয়কারীদের প্রতিনিধি ডা. নাশিদ কামাল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নুরুল কবির এবং আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ জালালুদ্দিনকে বোর্ডের সদস্য নিযুক্ত করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস লিজিংকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিপলস লিজিংকে অবসায়নের পক্ষে সম্মতি দেয় সরকার। এরপর আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে অবসায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। অবসায়ক নিয়োগের পর এখন পর্যন্ত মাত্র ৪০ কোটি আদায় হয়েছে। তবে এখনই আমানতকারীরা কোনো টাকা ফেরত পাচ্ছেন না।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০