ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

ইন্দোনেশিয়া ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, আহত ৮-rtv-rtvonline-indonesia-earthquake

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিপাইনে গতকাল শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ছয় দশমিক চার মাত্রার ভূমিকম্পটি দেশটির প্রধান দ্বীপ লুজনে শুরু হয়। ভূকম্পন অনুভূত হয় ইন্দোনেশিয়ায়ও। খবর: আরব নিউজ।

ভূমিকম্পের কারণে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার ভবনগুলো কেঁপে ওঠে। তবে এ ঘটনায় এখনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। জারি করা হয়নি সুনামি সতর্কতাও।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি অগভীর ধরনের ভূমিকম্প। এতে লুজনের বাতান প্রদেশের মোরং থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে। ভবন কাঁপার শব্দে ম্যানিলার আশপাশের বাসিন্দারা জেগে ওঠেন।

সাধারণত গভীরের চেয়ে অগভীর ভূমিকম্পে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়। তবে ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, এতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না। লুজনের কাছের দ্বীপ অক্সিডেন্টাল মিন্ডোরোর লুবাং শহরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ প্রধান অ্যারিস্টটল ক্যালায়াগ বলেন, ভূমিকম্পটি খুবই শক্তিশালী ছিল। এ সময় সবকিছু দুলতে থাকে। এখানকার মানুষ এ ধরনের ভূমিকম্পে অভ্যস্ত। তাই কেউ আতঙ্কিত হয়ে ঘরের বাইরে বের হননি, হুড়োহুড়িও করেননি।

মোরংয়ের পুলিশ প্রধান ক্যাপ্টেন মিশেল গ্যাজিওলা বলেন, শক্তিশালী হলেও অল্প সময় ধরে ভূকম্পন অনুভূত হয়। কোনো সমস্যা নেই। অনেক মানুষ ভূমিকম্পের মধ্যেও ঘুমিয়ে ছিলেন। এমনকি আফটার শকও হয়নি।

তবে পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ার অনেক বাসিন্দা আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বাইরে বের হন। সেখানের সুমাত্রা দ্বীপের পারিয়ামান শহরে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। দেশটির মেটিরিওলজি অ্যান্ড জিওফিজিক্স এজেন্সি (বিকেএমজি) জানায়, এখানে কয়েকটি আফটার শক হয়েছে। গত মাসে উত্তর সুমাত্রায় ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে ১২ জন নাগরিক মারা যান। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় অনেক ঘরবাড়ি।

প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ারে অবস্থিত ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। এখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর প্রায়ই সংঘর্ষ ঘটে। এ কারণে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০