নিজস্ব প্রতিবেদক: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই তার লক্ষ্য, কোনো কিছু বিনিময়ের আশা তিনি করেন না। গতকাল গণভবনে এমআইটি প্রেস থেকে প্রকাশিত ‘ইনোভেশনস: টেকনোলজি, গভর্ন্যান্স অ্যান্ড গ্লোবালাইজেশন’ শীর্ষক সাময়িকীর ‘ভলিউম ১৩, ইস্যু ১/২’ গ্রহণের পর এর সম্পাদক ফিলিপ অসওয়ার্ল£ ও ইকবাল জেড কাদিরের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এ দেশের মানুষ উন্নত-সমৃদ্ধ জীবন পাবে, সুখে-শান্তিতে বাস করবে। কিন্তু আরাধ্য কাজ শেষ করার আগেই তিনি ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন। তার সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার লক্ষ্য, কোনো কিছু বিনিময়ের আশা করি না।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের ৫০ বছর উপলক্ষে ‘ইনোভেশনস’ সাময়িকীর ভলিউম ১৩, ১/২ ইস্যুটি প্রকাশ করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্ট্রাইভিং টু রিয়েলাইজ দ্য আইডিয়েলস অব মাই ফাদার’ শীর্ষক একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক কৌশিক বসু ও সম্পাদক ইকবাল জেড কাদিরের লেখাও এতে স্থান পেয়েছে।
লেখাগুলোয় বিগত ৫০ বছরে বিশেষ করে বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রযাত্রা সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।
মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর তার সরকার পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার ফলেই আজকের এই অর্জন।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্ট্রাইভিং টু রিয়েলাইজ দ্য আইডিয়েলস অব মাই ফাদার’ শীর্ষক লেখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর হাতে স্বাধীনতা-পরবর্তী যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, নির্বাসনের দিনগুলো, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং জনগণের কাছাকাছি যাওয়া, ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত তার সরকারের কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরেছেন।
ইনোভেশনস সাময়িকীর দুই সম্পাদক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং দেশে জলবায়ু ক্ষতি মোকাবিলায় তার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রম তুলে ধরে একটি নিবন্ধ লেখার অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী তাদের অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দেন।
সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।