প্রতিনিধি, জবি: বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তিনি কখনো কারো সাথে কটু কথা বলেন নি, কারো সাথে গন্ডোগোল করেননি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অনেকেই মুখে বড় বড় কথা বলেন কিন্তু বাস্তবে তাদের কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছিটেফোঁটাও দৃশ্যমান হয় না। অনেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী কাজেও যুক্ত থাকছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভার সভাপতির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু যে অবিসংবাদিত নেতা তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। তার কয়েকটি চিত্র তুলে ধরে বলেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের যে শুধু সম্মানের আসনে তুলে ধরেছেন তাই নয় বরং চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারির ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্রত্বও হারিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সংগঠন করেছেন নেতৃত্ব দিয়েছেন কখনও চাঁদাবাজী করেননি। তিনি সব সময় মেহনতী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এটাই বঙ্গবন্ধু।
উপাচার্য আরও বলেন, আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমার আমার নিজের কোন এজেন্ডা নেই আমার একটাই এজেন্ডা সেটি হচ্ছে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন। আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন সাধন করতে।
আলোচনা সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, শুধু মুখেই না অন্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে যেগুলো বাস্তব জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে দৃশ্যমান করতে হবে।
জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, অনেক শিক্ষক মুখে মুখেই শুধু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে তাদের কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেননা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী কাজ করে অনেক শিক্ষক পত্রিকার হেডলাইনও হয়েছেন।
এসময় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্যের কাছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও উচ্চতর গবেষণার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও বঙ্গবন্ধু রিচার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে, জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, সকল অনুষদের ডিন, শিক্ষক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ আলোচনা সভায় পূর্বে সকালে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তাবক অর্পন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান উপচার্য। পরবর্তীতে একে একে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, নীল দল, হল প্রোভোস্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, মাইম সোসাইটি, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক জবি, ভাষা শহীদ রফিক স্মৃতি পরিষদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা কর্মচারি সমিতি পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।