নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাট্টলী টেক্সটাইল লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে ৩৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৭ পয়সা। অর্থাৎ, শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়েছে ১২ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) শেষে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৩ পয়সা। এছাড়া ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৬ পয়সা, যা ২০২১ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৬ টাকা ৭১ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৬২ পয়সা ঘাটতি, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৮ পয়সা।
এর আগে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের হিসাবেও কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে ৪৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৬ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১৭ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭৭ পয়সা (লোকসান)।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ছাড়া শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৭১ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৬ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৮ কোটি এক লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৬৩ লাখ ৫ হাজার ২০০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার, বিদেশি শূন্য দশমিক ০৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৪ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার।