মোজাফফর হোসেনের বিমা দাবির অর্থ পুনরুদ্ধারের অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ বিমা দাবি পুনরুদ্ধারের অনুমোদন দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কোম্পানিটির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সার্ভেয়ারের ফি বাদে ৫৩ লাখ ৩২ হাজার ৫৫১ টাকা বিমা দাবি পুনরুদ্ধারের অনুমোদন দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আর উল্লিখিত পরিমাণ অর্থে কোম্পানিটি ঋণ পরিশোধ, শেড পুনর্নির্মাণ এবং অন্যান্য জরুরি কাজে ব্যয় করবে বলে জানা গেছে।

বস্ত্র খাতের ‘বি’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪০ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি তিন শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা এবং ২০২১ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১০ টাকা ৩৯ পয়সা (লোকসান)।

এদিকে কোম্পানিটি চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৭৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল তিন পয়সা। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ৭০ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে ৯৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৯ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১৩ পয়সা, যা ২০২১ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৮ টাকা ১৬ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে চার টাকা ৩৩ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল সাত টাকা ৫৪ পয়সা (লোকসান)।

আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে এই ইপিএস বাড়ার কারণ হিসেবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের নতুন একটি রিং স্পিনিং ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়েছে এবং বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে রোটর ইউনিটের সম্পূর্ণ উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সুতার দর বেড়ে গেছে। যার ফলে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০