গাবতলীতে পুড়ে মারা গেলো ৩৯টি প্রাণি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ হয়েছে ১৩টি গরু ও ২৬টি ছাগল। এছাড়া আগুনে দগ্ধ হওয়া আরও ১৪টি গরু তাৎক্ষণিকভাবে জবাই করেন পশু ব্যবসায়ীরা।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা নাজমা আক্তার জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গাবতলী পশুর হাটে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

দারুস সালাম থানার ওসি মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতেই বড় এই পশুর হাটের তিনটি ছাউনি পুড়ে যায়। তবে সময়মতো তারা না এলে আরও বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারতো।

অগ্নিকাণ্ডের সময় হুড়োহুড়ির মধ্যে অন্তত অর্ধশত গরু-ছাগল চুরি হয়ে গেছে বলেও গাবতলী গবাদিপশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মজিবুর রহমান অভিযোগ করেছেন।

একজন ব্যবসায়ী জানান, প্রথমে হাটের দোচালা একটি ছাউনিতে আগুন লাগে; পরে পাশের দুই ছাউনিতে তা ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার সময় ওই তিন ছাউনিতে কয়েকশ গবাদিপশু রাখা ছিল। আর হাটে সে সময় অন্তত চার হাজার গরু-মহিষ-ছাগল ছিল বলে ব্যবসায়ী সমিতির ভাষ্য।

আগুন লাগার সময় অধিকাংশ ব্যাপারী গরু-ছাগলের কাছে ছিলেন না জানিয়ে গাবতলী গবাদিপশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, এজন্য চুরির ঘটনা ঘটেছে, ক্ষতি বেশি হয়েছে। আগুন লাগার পর কে কার গরু নিয়ে যাচ্ছেÑতা দেখার বা বাধা দেওয়ার কেউ ছিল না। ছাগল যে শেডে রাখা হতো, তার পুরোটাই পুড়ে যাওয়ায় এখন আর এই হাটে ছাগল রাখার কোনো জায়গা থাকলো না বলে জানান তিনি।

হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সারওয়ার হোসেন বলেন, হাটে আনা পশু যেসব ছাউনিতে বেঁধে রাখা হয়, সেগুলো প্লাস্টিকের তৈরি। ফলে আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে প্লাস্টিক গলে পড়ায় ছাউনিতে বেঁধে রাখা সব পশু রক্ষা করা যায়নি। যেগুলো দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল, সেগুলো কোনোরকমে বাঁচানো গেছে। শেকল বা চেইন দিয়ে যেগুলো বাঁধা ছিল, সেগুলো মারা পড়েছে।

মাস পাঁচেক আগেও একবার এ হাটে আগুন লেগেছিল জানিয়ে সারওয়ার হোসেন বলেন, সেবার ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০