শেয়ার বিজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। ওয়েলে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। চলে ধাক্কাধাক্কি, যা হাতাহাতিতে গড়ায়। শুধু তা-ই নয়, সেই হাতাহাতিতে ঝরে রক্তও। যদিও এ ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়করা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। খবর: হিন্দুস্তান টাইমস।
গত ২১ মার্চ বীরভূম জেলায় ভাদু শেখ নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার খুন হওয়া কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত ১০ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেই নৃশংসতা নিয়ে গতকাল বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। সেই ঘটনা নিয়ে আলোচনার দাবি তুলতে থাকেন তারা। এতে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সে সময় বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। বিধায়করা ধস্তাধস্তি করতে থাকেন।
ধস্তাধস্তির জেরে বিজেপি বিধায়ক মনোজ টি¹ার পোশাক ছিঁড়ে যায়। তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে যায়। রক্ত ঝরে তার। তৃণমূলের অভিযোগ, অসিতকে বিধানসভার মেঝেতে ফেলে মারা হয়। দ্রুত তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এসএসকেএম হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চুঁচুড়ার বিধায়কের অভিযোগ, নারী বিধায়কদের হেনস্তা করা হচ্ছিল। সে সময় প্রতিবাদ করায় শুভেন্দু নাকে ঘুষি মারেন। এ ঘটনার পর বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।
শুভেন্দুর দাবি, বিজেপি বিধায়কদের আক্রমণ করেছে কলকাতা পুলিশের সাদা পোশাক পরিহিত সদস্যরা। এরপর তপন চট্টোপাধ্যায় ও শওকত মোল্লাসহ আটজনের একটি দল বিজেপি বিধায়কদের ওপর হামলা চালায়। বাদ যাননি চন্দনা বাউরি ও তাপসী মণ্ডলও।
তবে শুভেন্দুর দাবি নাকচ করে দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, এরা (বিজেপি) গুণ্ডামি করতে এসেছে। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশে সন্ত্রাস করেছে। এখানেও সন্ত্রাস করছে। আমরাও বিরোধী ছিলাম। শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করতাম। তার দাবি, প্রতিদিন বিধানসভার অধিবেশনে হাঙ্গামা করছে। অন্যদিকে সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ, বিধানসভা আন্তর্জাতিক খোঁয়াড়ে পরিণত হয়েছে। আগে শিক্ষিত মানুষ বিধানসভায় যেতেন।