নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে এখনও তালিকাভুক্ত হয়নি ২৬ বিমা কোম্পানি। এসব কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে এবার অনুরোধ করল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিমা কোম্পানির নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) অনুরোধ করে চিঠি দেওয়া হলো।
গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে বলে শেয়ার বিজকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, তালিকাভুক্ত হতে বিমা কোম্পানিগুলোকে বিভিন্ন ইস্যুতে ছাড় দিয়ে আসছে বিএসইসি। এজন্য দ্রুত ২৬ কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে আইডিআরএ উদ্যোগ নেবে। এর অংশ হিসেবে কোম্পানিগুলোর মূলধনের ২০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে।
পুঁজিবাজারে বর্তমানে ৫৩টি বিমা কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। আইডিআরএকে দেয়া চিঠি অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ৮০ শতাংশই হচ্ছে সাধারণ তথা ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের। অথচ এটি হওয়া উচিত ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের। ফলে পুরো বাজার ব্যক্তিকেন্দ্রিক লেনদেননির্ভর হয়ে পড়েছে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিমা কোম্পানিকেগুলোকে ফিক্সড প্রাইস মেথডে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হতে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
এখানে আরও উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে ২৬ বিমা কোম্পানির মোট মূলধনের পরিমাণ হচ্ছে ৩০ কোটি টাকা। এর ২০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে তালিকাভুক্ত হতে। এর আগে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে ৬১ ব্যাংকের কাছে অনুরোধ করেছিল বিএসইসি। এর মধ্যে যেসব ব্যাংক বিশেষ তহবিল গঠন করেনি, তাদের তহবিল গঠন করতে অনুরোধ করা হয়।
বর্তমানে এক ধরনের তারল্যর চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। এজন্য লেনদেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে কিছুটা বাড়লেও কয়েক মাস আগের অবস্থায় েেযতে পারছে না। তারল্যপ্রবাহ বাড়াতে এ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে তৃতীয় পদক্ষেপ নিল বিএসইসি। ব্যাংক ও বিমা কোম্পানিকে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি পতন ঠেকাতে শেয়ারের দর অবনমনে দুই শতাংশ সার্কিট ব্রেকার দিয়ে রেখেছে বিএসইসি। এর ফলে এক দিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দর সর্বোচ্চ দুই শতাংশ কমতে পারবে। কিন্তু সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বৃদ্ধির সার্কিট ব্রেকারের বিষয়টি ঠিকই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।