নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিবিএস কেব্লস লিমিটেড ও বস্ত্র খাতের কোম্পানি মুন্নু ফেব্রিকস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআর)। আর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের স্টেকহোল্ডারদের উদ্দেশে প্রাপ্ত রেটিং প্রকাশ করেছে।
বিবিএস কেব্লস লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।
কোম্পানিটি ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২০১ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৪১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ২০ কোটি ১৬ লাখ ২৮ হাজার ৩৫০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২১ দশমিক ১২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৮৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৫০ পয়সা।
মুন্নু ফেব্রিকস লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ’ আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।
কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৫ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৬২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে এক দশমিক ৫১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৯ দশমিক শূন্য চার শতাংশ শেয়ার রয়েছে।