ব্যবসার নামে অবৈধ সম্পদ গোপন

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধ সম্পদ গোপন করতে ব্যবসাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু ব্যবসার সপক্ষে সংশ্লিষ্ট কোনো কাগজপত্র নেই। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে দেয়া হয়েছে মিথ্যা তথ্য। এসব করেও পার পাওয়া যায়নি। দুদকের মামলায় ফেঁসে গেছেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা উইংয়ের অফিস সহকারী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ও তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা।

তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ৮ মার্চ উপপরিচালক মোশারফ হোসেইন মৃধা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা দুটি দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিস জারি করে দুদক। তারা দুজন ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

নাসরিন সুলতানার সম্পদ বিবরণীতে ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য দেয়া হয়। এর মধ্যে ২০১৭-১৮ ও ২০১৯-২০ করবর্ষ পর্যন্ত ব্যবসার আয়, ব্যবসার মূলধন, বিয়ের সময় প্রাপ্ত উপহার প্রভৃতি উৎস থেকে আয় হিসাবে ৫৪ লাখ টাকা প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ব্যবসার মূলধন হিসেবে দেখানো ২০ লাখ টাকার উৎসের কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানকালে তার কমিশন এজেন্ট বা অন্য কোনো ব্যবসার কাগজপত্রও পাওয়া যায়নি। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ১৯ লাখ টাকা। আয়কর নথি অনুযায়ী পারিবারিক ও অন্যান্য খরচ বাবদ মোট ব্যয় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে তিনি ২৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রাখেন। 

এজাহারে নাসরিন সুলতানার বিরুদ্ধে ২৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪’-এর ২৭(১) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।

এজাহারে মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি ৩৫ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এই দুই অপরাধে ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪’-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০