শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনে পুতিনের পক্ষ নেয়া এবং সরাসরি মার্কিন সরকারের সমালোচনা করাই কী কাল হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের? আজ তার বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ইমরান খানের এ ভাগ্যনির্ধারণী অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। অধিবেশন ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কায় রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি শরিক দল বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়ায় পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ক্ষমতাসীন দল। এতে বিরোধী দলগুলোর আইনপ্রণেতাদের সংখ্যা বেড়ে যায়। অনাস্থা প্রস্তাব পাসে বিরোধীদের প্রয়োজন ১৭২ ভোট। তাদের প্রতি ১৯৯ আইনপ্রণেতার সমর্থন আছে বলে জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ইমরান খানের দলের ভেতরে এবং সেনাবাহিনীতে মার্কিন লবি বেশ সক্রিয়। তারাই এখন ইমরান খানের বিরুদ্ধে কাজ করছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ইমরান খান সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তিনি পশ্চিমা জোটকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। চীন ও রাশিয়ার প্রতি অতি-আবেগ তাকে গদি থেকে সরিয়ে ফেলার মতো পরিবেশ তৈরি করেছে। এতে পাকিস্তানের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের মতে, এবার পাকিস্তানের রাজনৈতিক পালাবদলে আমেরিকান সমর্থক গোষ্ঠী সফল হলে পাকিস্তানে আবারও সেনাবাহিনীর প্রভাব বাড়বে।