শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) জানিয়েছে, তাদের পক্ষে তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব নয়। আইনি ও পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে নির্বাচনের আয়োজন করতে দেরি হবে। খবর: ডন।
পাকিস্তানের নির্বাচনী আইনের ১৪ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে ভোটের চার মাস আগে নির্বাচনী পরিকল্পনা ঘোষণা করতে হবে।
গত রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেয়া হয়। ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি এ প্রস্তাব খারিজ করেন। এছাড়া ইমরান খানের পরামর্শ মেনে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
আইন অনুযায়ী, পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দেশটিতে নির্বাচন করতে হবে। তবে ইসিপি জানায়, আগাম নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির জন্য প্রায় ছয় মাস লাগতে পারে। এর আগে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে আসনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদও করতে হবে। এতেও সময় লাগবে।
সর্বোপরি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার ও বিদেশি পাকিস্তানিদের ভোটাধিকারের বিষয়ও রয়েছে। এভাবে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করতে অতিরিক্ত তিন মাস লাগবে বলে জানায় ইসিপি।
তাছাড়া নির্বাচনের সামগ্রী সংগ্রহ, ব্যালট পেপার প্রস্তুত করা ও ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের বিষয় রয়েছে।
এদিকে ইসিপি বেলুচিস্তান প্রদেশে স্থানীয় সরকার (এলজি) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৯ মে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি পাঞ্জাব, সিন্ধু ও ইসলামাবাদেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। অর্থাৎ একই সময় সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়।