শেয়ার বিজ ডেস্ক: চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। তাই গণঅসন্তোষ দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এ কারণে দেশটির ক্ষমতাসীন মন্ত্রিসভার সব সদস্য পদত্যাগ করেন। এখন ক্ষমতাসীন জোটেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি (এসএলএফপি), শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) ও সিলোন ওয়ার্কার্স কংগ্রেসের (সিডব্লিউসি) ৪২ আইনপ্রণেতা অধিবেশনে জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের ঘোষণা দেন। খবর: বিবিসি।
এতে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের নেতৃত্বাধীন জোট।
বিক্ষোভের মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগের পর প্রেসিডেন্ট সর্বদলীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধী দলগুলো। তারা এখন প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের নেতৃত্বাধীন এসএলপিপির সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টিও এতদিন সরকারে ছিল। দলটির নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা গতকাল রাজাপক্ষের জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমাদের দল জনগণের পক্ষেই থাকবে।
এদিকে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নতুন গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পি নন্দলাল বীরাসিংহে। আগামীকাল থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফে তার নিয়োগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। গত সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অজিত নিভার্দ ক্যাবরাল পদত্যাগ করেন।
এছাড়া শপথ নেয়ার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে শ্রীলঙ্কার নতুন অর্থমন্ত্রী আলি সাবরিও পদত্যাগ করেছেন। গতকাল প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রে সাবরি জানান, তিনি কেবল অন্তর্র্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট যদি সংসদের বাইরের কোনো উপযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে চায়, তাহলে তিনি (সাবরি) নিজের সংসদীয় আসন থেকেও পদত্যাগ করতে রাজি আছেন।
মন্ত্রিসভার ২৬ সদস্য পদত্যাগ করার পরদিন নতুন করে চারজনকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান জিএল পেইরিস। এছাড়া দীনেশ গুণবর্ধনে শিক্ষামন্ত্রী ও জনস্টন ফার্নান্দো মহাসড়কমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।