নিরাপত্তা জোরদারে সম্মত জাপান-ফিলিপাইন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমন ও ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পটভূমিতে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণ করতে সম্মত হয়েছে জাপান ও ফিলিপাইন। খবর: ভয়েস অব আমেরিকা।

গতকাল দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ সমঝোতা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় এ বৈঠক। জাপানের রাজধানী টোকিওতে এশিয়ার দুই দেশের প্রথম ‘২+২’ ফ্রেমওয়ার্কে অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকের পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন, দুই দেশ সম্ভাব্য সহযোগিতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি ও সরবরাহের দিকে নজর দেবে।

এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এ ধরনের ৯টি ‘২+২’ ফ্রেমওয়ার্কের আয়োজন করেছে জাপান। তবে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এর আগে শুধু ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে এ ধরনের বৈঠক করেছে দেশটি। ফিলিপাইন ছাড়া জাপান যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও রাশিয়ার সঙ্গে টু প্লাস টু ফ্রেমওয়ার্ক গঠন করে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নোবুও কিশি, ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র সচিব তেওডোরো লোকসিন জুনিয়র ও ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা সচিব ডেলফিন লরেঞ্জানাও।

বৈঠকে যৌথ মহড়া পরিচালনার মাধ্যমে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করতে সম্মত হন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।

দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরের জলসীমা নিয়ে চীনের সঙ্গে মতবিরোধ টোকিও ও ম্যানিলার। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় সব অংশ চীন দাবি করলে এ নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কটি দেশের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয়। এছাড়া জাপান ও ফিলিপাইন বৈশ্বিক রাজনীতিতে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলীয় প্রতিনিধি। এদিকে কুরিল দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ বিরোধ রয়েছে জাপানের। এছাড়া উদ্বেগ রয়েছে উত্তর কোরিয়ার মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায়ও।

২০১৫ সালে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক স্থাপনের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল দেশ দুটি। চুক্তির আওতায় প্রায় ২০টি যৌথ নৌ-মহড়া পরিচালনা করেছে তারা। গত বছরও যৌথ বিমানবাহিনীর মহড়া করে জাপান-ফিলিপাইন।

চুক্তির আওতায় জাপান এরই মধ্যে ফিলিপাইনে প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। এসব উপকরণ দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের টহলদারি বাড়িয়েছে ফিলিপাইন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০