শেয়ার বিজ ডেস্ক: জরুরি আর্থিক সহায়তা চেয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে আবেদন করেছে শ্রীলঙ্কা। খবর: বিবিসি।
দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গতকাল বিবিসি জানায়, বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে অনিচ্ছুক থাকলেও পরে ভারতের অনুরোধে তারা কলম্বোর আবেদনটি বিবেচনা করতে রাজি হয়েছে।
এরই মধ্যে একটি শীর্ষস্থানীয় রেটিং এজেন্সি জানায়, শ্রীলঙ্কা সঠিক সময়ে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না।
এদিকে শ্রীলঙ্কার নতুন অর্থমন্ত্রী আলি সাবরির নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে গিয়েছে দেশটির একটি প্রতিনিধিদল। তারা গত সোমবার থেকে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
কভিড-১৯ মহামারির প্রভাব, সরকারি তহবিল পরিচালনায় অদক্ষতা ও তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রমাগত নিঃশেষ হতে চলে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এসব কারণে ৭০ বছরের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে চরম অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে।
সাবরির নেয়া পদক্ষেপের মাধ্যমে আইএমএফের সহায়তায় রিজার্ভের ঘাটতি পূরণ করা সহজ হবে এবং জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় আমদানি পণ্যের মূল্য পরিশোধে স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নকে
আকৃষ্ট করবে বলে এক বিবৃতিতে জানায় অর্থ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, আইএমএফের দ্রুত আর্থিক সহায়তা (আরএফআই) প্রকল্পের আওতায় ঋণের জন্য আবেদন করেছে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে এই আবেদন মঞ্জুর করতে আগ্রহী ছিল না। পরে আরএফআইয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার হয়ে ভারতও অনুরোধ জানায়।
সদস্য দেশগুলোকে জরুরি সহায়তা দেয়ার জন্য আরএফআইয়ের আওতায় তহবিল অনুমোদন করে আইএমএফ। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এই অর্থ সহায়তা দেয়া হয়।
গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কা সরকার জানায়, তিন হাজার ৫৫০ কোটি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খাওয়া শ্রীলঙ্কায় এখন একের পর এক বিক্ষোভ হচ্ছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।