যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ’র অনুমোদন পেল এসিআই হেলথকেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ওষুধ রপ্তানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদন পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এসিআই লিমিটেডের সহযোগী কোম্পানি এসিআই হেলথকেয়ার লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, এসিআই লিমিটেডের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসিআই হেলথকেয়ার লিমিটেড প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গ্যাবাপেনটিন নামে ক্যাপসুল রপ্তানি করতে এফডিএ’র অনুমোদন পেয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওতে অবস্থিত এসিআই হেলথকেয়ার লিমিটেড মূলত প্রাথমিকভাবে ওষুধ রপ্তানির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এটি ওষুধ রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এদিকে সম্প্রতি এসিআই লিমিটেড তাদের চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৪ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩০ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১৪ পয়সা। জুলাই ২০২১ থেকে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত প্রথম ৯ মাসের হিসাবে ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৯৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৭ পয়সা। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪০ টাকা ৬১ পয়সা।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬২ টাকা ৬৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৯ টাকা ৮৬ পয়সা (ঘাটতি)।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ বা ১ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৯১ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ২৯১ টাকা। দিনজুড়ে ৬৯ হাজার ৬৮৬ শেয়ার মোট ৪৭৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৮৯ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৯৪ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৩৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৩৫১ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে হাতবদল হয়।

২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৮০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ টাকা ৪৫ পয়সা (লোকসান) এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩৭ টাকা ৬৭ পয়সা। আর ওই সময় কোম্পানিটি লোকসান করেছে ১০৫ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এসিআই লিমিটেড ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত ম‚লধন ৭২ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৬১ কোটি চার লাখ টাকা। কোম্পানির ৭ কোটি ২৫ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৫.২৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪০.৫৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ২৪.১৩ শতাংশ শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০