ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও, ধলিয়া, কালিদহ, ফরহাদনগর, ফাজিলপুর, ছনুয়াসহ ৬টি ইউনিয়ন, সোনাগাজী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় ২০ লাখ মানুষ জেলা শহর ফেনী আসার সংযোগ সড়ক হচ্ছে লালপোল। এদিকের মানুষগুলো নানা কাজে ফেনী শহরে যাতায়াত করে থাকেন। বিভিন্ন কাজে এই সড়কে আসা-যাওয়া করা মানুষের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু লালপোল মহাসড়কের ত্রুটিযুক্ত নকশার কারণে ফেনীর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সোনাগাজী সড়কটি এই মহাসড়ক দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফেনী জেলার বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করার সুবাদে নিয়মিত অনেক ছাত্র-ছাত্রী এই রোডে যাতায়াত করে। লালপোল ক্রসিং পার হয়ে ফেনী শহরে ঢুকতেই সড়কের পূর্বপাশে অবস্থিত ফেনীর অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জয়নাল হাজারী কলেজ। এই কলেজের হাজারো ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়ে থাকে। পদচারী সেতু একটু দূরে থাকায় কেউ সেটি ব্যবহার করতে চান না। এছাড়া রোগী নিয়ে স্বজনদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে আসতেও লালপোলের বিকল্প নেই। শহরে প্রবেশের বিকল্প রাস্তা না থাকায় বিশাল জনগোষ্ঠীর ভরসা লালপোল। কিন্তু প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ জনপদের মানুষকে জেলা শহরে আসতে হয়। টাউন সার্ভিস নামে শহরকেন্দ্রিক যে বাস সেবা চালু রয়েছে, সে বাসগুলো লালপোল থেকে ছেড়ে যায়। শহরে ঢুকতে বাসগুলো লালপোল ক্রসিং ব্যবহার করে যেটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়?া হাজার হাজার সিএনজিচালিত, থ্রি হুইলার, ট্রাক, পিকআপ, মোটরবাইক এই ক্রসিং ব্যবহার করে। লালপোল সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একটি অংশ হওয়ায় নিয়মিত অনেক ভারী যানবাহন ও যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। চট্টগ্রামগামী দূরপাল্লার গাড়িগুলো মহিপাল ছয় লেন ফ্লাইওভার অতিক্রম করার পর দ্রæত গতিতে লালপোল অতিক্রম করে। ফলে এ বিশাল জনপদের মানুষ মহাসড়ক পাড়ি দিতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে; অকালে ঝরে যাচ্ছে শত শত তাজা প্রাণ। সুতরাং দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে অনতিবিলম্বে লালপোল ক্রসিংয়ে আন্ডারপাস অথবা ওভারপাস নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি।
অনিক বনিক
শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা বিভাগ,
জয়নাল হাজারী কলেজ, ফেনী
