শেয়ার বিজ ডেস্ক: ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি মুদ্রা রুপির অবনমন কমছে না। এতে তলানিতে ঠেকেছে রুপির দর। খবর: দ্য ডন।
ইতিহাসে এর আগে কখনও রুপির এত দরপতন হয়নি। গত মঙ্গলবার এক ধাক্কায় ৮২ পয়সা কমে রুপির মান। আন্তঃব্যাংক বাজারে প্রতি ডলারের বিপরীতে পাওয়া যায় ১৮৮ দশমিক ৬৬ রুপি। ফরেক্স ডিলারদের দাবি, লাহোরের খোলাবাজারে এক ডলার ১৮৯ রুপির বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুদ্রাবাজারের ডিলাররা জানান, ডলারের উচ্চ চাহিদার কারণে মার্কিন মুদ্রার দাম বাড়ছে। গতকাল আরও অবনমন হয়ে দাঁড়ায় ১৯০ দশমিক ৩৩ রুপিতে।
স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান জানায়, প্রতিদিনের ভিত্তিতে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বা ১ দশমিক ১৩ রুপি হারিয়েছে। অন্যদিকে আগের দুটি সেশনে ১ দশমিক ৮৪ রুপি দাম বেড়েছে ডলারের। মূলত ক্রমবর্ধমান বিনিময় হার দেশটির অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অনিয়ন্ত্রিত আমদানি বেড়ে যাওয়া এবং এর
তুলনায় রপ্তানি ধীর গতি হওয়ায় ধারাবাহিকভাবে মূল্য হারাচ্ছে রুপি।
রুপির এই মূল্যহ্রাস বাণিজ্য ঘাটতিতেও প্রভাব ফেলেছে। গত বছর জুলাই থেকে চলতি বছর এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে বাণিজ্য ঘাটতি পৌঁছেছে তিন হাজার ৯০০ কোটি ডলারে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, ডলারের ক্রমবর্ধমান এই মূল্য পাকিস্তানের অর্থনীতির ওপর আরও চাপ বাড়াতে পারে।
প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ক্ষমতায় বসেছেন শাহবাজ শরিফ। নতুন প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার ইমরান-সরকারের মতো ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হবে না। পাকিস্তানের অর্থনীতির উন্নয়ন হবে বলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে শাহবাজ সরকারের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো বেশ কঠিন বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া পাকিস্তান ও চীনের মধ্যকার ইকোনমিক করিডর নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে পাকিস্তান। এই করিডর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সেই লেনদেনের সূত্র ধরে বিপুল চীনা ঋণে পড়েছে পাকিস্তান। চীনা সংস্থাগুলো জানায়, দেনা শোধ করতে হবে দ্রæত, না হলে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে তুলে নেয়া হবে ঋণ, যা পাকিস্তানকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।