ওষুধ সরবরাহ স্থিতিশীল করার নির্দেশ কিমের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ওষুধের সরবরাহ স্থিতিশীল করতে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এজন্য একটি জরুরি পলিট ব্যুরো বৈঠকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। খবর: সিএনবিসি।

গত সপ্তাহে দেশটি প্রথম কভিড-১৯ রোগী শনাক্তের খবর দেয়। তখন থেকে মহামারির প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটি।

গতকাল দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) বরাত দিয়ে সিএনবিসি জানায়, উত্তর কোরিয়া গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো

কভিড-আক্রান্ত রোগীর খবর দেয়। বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ জানিয়েছেন, ভাইরাসটির বিরুদ্ধে সীমিত চিকিৎসাসেবা, ওষুধ সরবরাহ ও কোনো টিকা কর্মসূচি না থাকায় দেশটি বিপর্যস্ত হতে পারে।

গত রোববার অনুষ্ঠিত জরুরি পলিটব্যুরোর বৈঠকে কিম ‘দায়িত্বহীন’ কাজের মনোভাব, মন্ত্রিসভা ও জনস্বাস্থ্য খাতের সংগঠিত ও কার্যকর করার ক্ষমতার সমালোচনা করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার তার জাতীয় ওষুধের মজুত বিতরণের নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু কিম বলেছিলেন, রাজ্যে সংগৃহীত ওষুধগুলো ফার্মেসির মাধ্যমে সময়মতো ও সঠিকভাবে রোগীদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।

কিম আদেশ দিয়েছিলেন, অবিলম্বে পিয়ংইয়ংয়ে ওষুধ সরবরাহ স্থিতিশীল করার জন্য সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের ‘শক্তিশালী বাহিনী’ মোতায়েন করা হবে। তিনি ওষুধের সরবরাহ ও বিক্রি সম্পর্কে জানতে পিয়ংইয়ংয়ের তাইডং নদীর কাছে একটি ফার্মের্সি পরিদর্শন করেন। তখন তিনি বলেন, ফার্মেসিগুলো তাদের কাজ সুচারুভাবে সম্পাদন করার জন্য সুসজ্জিত নয়। শোকেস ছাড়া অন্য কোনো পর্যাপ্ত ওষুধ সংরক্ষণের জায়গা নেই। বিক্রয়কর্মীরা সঠিক স্যানিটারি পোশাক পড়েননি।

উত্তর কোরিয়া জানায়, এখন পর্যন্ত মৃত্যুর বড় কারণ চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান এবং বোঝার অভাব। দেশটিতে আরও তিন লাখ ৯২ হাজার ৯২০ জনের দেহে জ্বরের লক্ষণ রয়েছে, যার মধ্যে আটটি নতুন মৃত্যু হয়েছে। এই সন্দেহভাজন মৃত্যুর মধ্যে কয়জন কভিড-১৯-এর জন্য দায়ী তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০