ঢাকা-ওয়াশিংটন অর্থনৈতিক সংলাপ জুনে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর আমেরিকার দেশটি এ দেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক যেমন গভীর আবার কিছু বিষয় নিয়ে ভিন্নমত ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আগামী মাসে দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

গতকাল বুধবার নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সামনের মাসে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক সংলাপের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, তারা যেসব সমস্যা চিহ্নিত করেছে, বিশেষ করে শ্রম বিষয় বা ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে, সেগুলো হয়তো আলোচনা করা হবে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমাদের প্রস্তুতি চলছে। আমরা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গেও এ বিষয়ে কাজ করছি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গেও কাজ করছি, একটা রোডম্যাপও দিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু প্রতিশ্রæতি রয়েছে। সেগুলো আমরা ২০২৩-এর  ভেতরে বাস্তবায়নের কাজ করছি। বিভিন্ন দেশ যেসব বিষয় উত্থাপন করে, আমরা যদি অনুধাবন করি যে বাংলাদেশের কিছু করণীয় রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে বাস্তবতার আলোকে কাজ করা হয়।’

শ্রম অধিকার বিষয়ে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই আলোচনা হয় না, এখানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গেও সরকার আলোচনা করে। কারণ সবাই একই ধরনের উদ্বেগ বা পর্যবেক্ষণ করে বলে তিনি জানান।

তাদের আপত্তি সম্পর্কে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন বা সংগঠন করার অধিকার বা ভীতি প্রদর্শন এগুলো তাদের অভিযোগ। কিন্তু এর সবগুলোর সঙ্গেই যে আমরা একমত বিষয়টি সে রকম নয়।

উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক সংলাপে কী এজেন্ডা থাকবেÑজানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ইস্যু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের বিষয় রয়েছে। আমাদের রপ্তানি রয়েছে। এ ধরনের সব প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

সরকারের সচিব পর্যায়ের একটি মেকানিজম রয়েছেÑজানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় আমাদের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি। যেসব বাণিজ্যিক বিষয়গুলো ঠিক করার প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলো আমরা করছি। পাঁচটি মন্ত্রণালয়Ñযেমন শ্রম, বাণিজ্য, স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেকানিজম রয়েছে। যারা বিভিন্ন সমস্যা উত্থাপন করে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করি। কী করণীয় সেটা ঠিক করি।’

তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতের সঙ্গেও এ বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়। আমরা চেষ্টা করি তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিশ্রæতিগুলো যেন বাস্তবায়ন করা যায়।

কভিডের কারণে আমরা কিছুটা পিছিয়ে গেছিÑউল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, যেমন শিল্প ইন্সপেক্টর নিয়োগ পিছিয়ে গেছে। কারণ পাবলিক সার্ভিস কমিশন বন্ধ ছিল। এখন চেষ্টা করছি যে সময় নষ্ট হয়েছে, সেটিকে পুষিয়ে নিতে।

র‌্যাব বা ইউক্রেন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, যে আইনি ব্যবস্থাগুলো রয়েছে সেটি আমরা অনুসন্ধান করে দেখছি। আমরা বেশ কিছু দূর এগিয়ে আছি। র‌্যাব নিয়ে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, মামলার কথা বলিনি। এ-সংক্রান্ত যে আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে, সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০