ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম): সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের (আরএইচডি) অর্থায়নে মীরসরাই উপজেলায় কলেজ রোডসংলগ্ন (মীরসরাই-ফটিকছড়ি সড়ক) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে মীরসরাই-ফটিকছড়ি সড়কের ১২ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। যদিও হযরত শাহ্জালাল ব্রিক ম্যানুফ্যাকচার নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের ২০২১-২২ অর্থবছরে সড়ক সংস্কার কাজের অনুক‚লে ৪৪ লাখ ৯৯ হাজার ২০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি আঁকাবাঁকা সড়কটির খানাখন্দগুলো পরিপূর্ণভাবে সংস্কার করার কথা থাকলেও খানাখন্দ রেখেই সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সড়ক সংস্কার কাজে নিন্মমানের পাথর (ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিত্যক্ত বিটুমিনমিশ্রিত পাথর) ও নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে রাস্তায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রকল্পগুলোয় নিন্মমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তাটি ভেঙে জলে যাচ্ছে সরকারি টাকা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার-অনুপযোগী হয়ে পড়ে এসব সড়ক। ফলে সরকারি বরাদ্দে অবমূল্যায়নের ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এলাকাবাসীকে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, বিশ্বরোড থেকে উপড়ে ফেলা পাথর দিয়ে এ রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে। এতে করে রাস্তাটিতে কিছুদিনের মধ্যে আগের মতো খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদার মহসিন মিয়া বলেন, আমরা আমাদের কাজ যথাযথভাবে করছি। সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তারা আমাকে ফোন করে বলেন, কাজের মান নিয়ে স্থানীয় মানুষ ও সাংবাদিকরা অভিযোগ করছেন। কাজটি সঠিকভাবে করার জন্য তারা তাগিদ দেন।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকোশলী পিন্টু চাকমা বলেন, আমরা প্রত্যেকটা জায়গা টেস্ট করে ম্যাটেরিয়াল দিই। মানুষ কীভাবে খারাপ বলছে, তা আমি জানি না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ এসব কাজে অসন্তুষ্ট থাকে, তারা তো হাইওয়ে সড়কের বড় কাজের সঙ্গে তুলনা করে। আসলে এটিকে লিপস্টিক ওয়ার্ক আমরা বলে থাকি।