কাঁঠাল থেকে হবে জ্যাম চাটনি-চিপসসহ ১২ পণ্য

প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ: জাতীয় ফল কাঁঠাল থেকে মুখরোচক জ্যাম, চাটনি, আচার, দই ও চিপসসহ ১২টি প্যাকেট এবং বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) শস্য সংগ্রহ-উত্তর প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষক।

সঠিক পরিচর্যার অভাবে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ কাঁঠালের অপচয় ও ক্ষতি হয়। দেশ ও দেশের চাষিদের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে এবং সারা বছর কাঁঠালের প্রাপ্তি সহজলভ্য করতে প্রক্রিয়াজাতের এ পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব পণ্য বাজারজাত করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে একটি কোম্পানি।

গতকাল ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) এক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘কাঁঠালের সংগ্রহ-উত্তর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব কথা জানান বিএআরআইয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশনস লিমিটেডের সহযোগিতায় গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।

ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় আমরা কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, কাঁঠালস্বত্ব, রেডি টু কুক কাঁঠাল, ফ্রেশকাটসহ ১২টি পণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলো ঘরে রেখে সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে এসব পণ্য উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব।

কর্মশালায় নিউভিশন সলিউশনস লিমিটেডের মুখ্য পরিদর্শক তারেক রাফি ভূইয়া বলেন, উদ্ভাবিত পণ্যগুলো বাজারজাত করতে নিউভিশন কোম্পানি বিএআরআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় পণ্যগুলো বিপণনের কাজ চলছে। এছাড়া এসব অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রকল্পের মাধ্যমে কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা সফলভাবে কাঁঠাল থেকে বিভিন্ন পণ্য তৈরি ও স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ভোক্তাদের সুনাম অর্জন এবং আর্থিক উন্নয়নে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হানিফ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন নিউভিশন সলিউশনস লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার কায়সার আলম।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০