নিজস্ব প্রতিবেদক: অস্বাভাবিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, জ্বালানি খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স লিমিটেড এবং বিবিধ খাতের কোম্পানি উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের। কোম্পানি তিনটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির গত ২৬ মে থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন তাদের শেয়ারদর ছিল ৪১ টাকা ৫০ পয়সা, যা গতকাল ৬ জুন লেনদেন হয় ৬১ টাকা ৬০ পয়সায়। এ হিসেবে মাত্র ৭ কার্যদিবসের ব্যবধানে দর বেড়েছে ২০ টাকা ১০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৬ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ২০ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৯৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ৮৬ পয়সা।
ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স লিমিটেড: কোম্পানিটির গত ২৫ মে থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন তাদের শেয়ারদর ছিল এক হাজার ৩৭৬ টাকা ৩০ পয়সা, যা গতকাল ৬ জুন লেনদেন হয় এক হাজার ৯৩২ টাকা ৪০ পয়সায়। এ হিসেবে মাত্র ৮ কার্যদিবসের ব্যবধানে দর বেড়েছে ৫৫৬ টাকা ১০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৪০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ টাকা ১৮ পয়সা।
উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যক্টরি লিমিটেড: কোম্পানিটির গত ২৫ মে থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন তাদের শেয়ারদর ছিল ৫৭ টাকা ৪০ পয়সা, যা গত ২ জুন লেনদেন হয় ৭৪ টাকা ১০ পয়সায়। এ হিসেবে মাত্র ৬ কার্যদিবসের ব্যবধানে দর বেড়েছে ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। ১৯৮৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘জেড’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৭ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার টাকা।