শেয়ার বিজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় পিকে হালদারসহ তার সহযোগীদের ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তারা পিকে এবং তার সহযোগীদের ৩০০ কোটি টাকার সম্পদ পেয়েছে বলে জানিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কলকাতার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ আদালতে তোলা হয় পিকে হালদারকে। তখন আদালতকে এসব কথা জানায় ইডি।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে পিকে হালদারকে ১৪ মে গ্রেপ্তার করে ইডি। তারা পিকে হালদারের আরও পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পিকে হালদারের প্রাসাদসম বাড়িসহ অনেক সম্পদের সন্ধান পায় ইডি। ১৭ মে তাদের সবাইকে এই আদালতে তোলে ইডি।
আদালত প্রথমে ১০ দিনের রিমান্ড দেন। এরপর গত ২৭ মে কলকাতার নগর আদালত আজ পর্যন্ত বিচারিক হেফাজতে রেখে জেরার নির্দেশ দেন। গতকাল আবার পিকে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে ফের ১৪ দিনের কারা হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত পিকে হালদার ভারতে শিবশংকর হালদার নামে পরিচিত। ইডি বলেছে, শিবশংকর হালদার পরিচয় দিয়ে ভারতের একাধিক সরকারি পরিচয়পত্র, যেমন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রেশন কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র, আয়কর দপ্তরের পরিচয়পত্র পিএএন বা প্যান, নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র, আধার কার্ড প্রভৃতি জোগাড় করেছিলেন। পিকে হালদারের সহযোগীরাও একই কাজ করেছেন বলে জানিয়েছে ইডি।
পিকে হালদার আদালতকে জানান, ‘প্রশান্ত কুমার হালদার, শিব শংকর হালদার ও পিকে হালদার একই ব্যক্তি, আমিই।’ গত ১৪ দিনে কারাগারে থাকার সময় পিকে হালদারকে জেরা করে ইডি। সেই জেরার সময় উঠে আসা নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরে ইডি। তারা জানায়, ভারতের বিভিন্ন এলাকায় পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের ৪৪টি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হদিস পায় তারা।
এর আগে কারাগারে থাকা অবস্থায় পিকে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদের সেই বয়ান রেকর্ডও করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের হদিস পায় ইডি। আদালতে ইডি জানায়, পিকে হালদারের ৪৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে, যেখানে প্রায় ৬০ কোটি টাকা ক্যাশ রয়েছে।
এছাড়া মালয়েশিয়ায় সাতটি ফ্লাটসহ প্রায় ৪০টি সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ইডি। রয়েছে অন্তত ৬০ কোটি টাকা। ইডি আদালতকে জানায়, এ পর্যন্ত জেরায় তারা আরও জানতে পেরেছে, মালয়েশিয়ায় পিকের সাতটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে। পিকে হালদারসহ বাকি অভিযুক্তরা হলেনÑতার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও আমানা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার।