শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইরানের তাবাস শহরের কাছে একটি ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। খবর: এএফপি।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার একটি খননযন্ত্রের (এক্সকাভেটর) সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিংয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ১৭ জন নিহত ও ৩৭ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জরুরি সেবা বিভাগের মুখপাত্র বলেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ আহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগের অবস্থা গুরুতর। তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে ২৪টি অ্যাম্বুলেন্স ও তিনটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তাবাসের অবস্থান দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশে। তেহরান থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৯০০ কিলোমিটার (৫৬০ মাইল)।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রেলওয়ের উপপ্রধান মীর হাসান মুসাভি বলেন, ট্রেনটিতে ৩৪৮ যাত্রী ছিলেন। রেললাইনের কাছে থাকা একটি এক্সকাভেটরে আঘাত করার পর ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, আহত ব্যক্তিদের কয়েকজনকে উদ্ধারের পর হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল জনমানবহীন হওয়ায় উদ্ধার সহায়তা পৌঁছাতে দেরি হয়। আহতদের নেয়া হয় প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে।
ইরানি রেড ক্রিসেন্টের জরুরি কার্যক্রম-বিষয়ক প্রধান মেহদি ভালিপুর বলেন, ট্রেনটিতে ১১টি বগি রয়েছে। গতকাল ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে এর ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ জানতে বিচারিক তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তাবাসের প্রসিকিউটর।
২০১৬ সালে ইরানের উত্তরাঞ্চলে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষের পর আগুন ধরে গেলে ৪৪ জন নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন। এ ঘটনা কেন্দ্র করে ইরানি রেলওয়ের তখনকার প্রধান পদত্যাগ করেন এবং রেলওয়ের চার কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিশ্বে রেল কিংবা সড়কপথে দুর্ঘটনার জন্য রেকর্ড রয়েছে ইরানে। তথ্য বলছে, প্রতি বছর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় ১৭ হাজার মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।