নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের নেট মুনাফা হয়েছে ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল পাঁচ কোটি ৩১ লাখ ২০ হাজার টাকা (লোকসান)। এ সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ছয় টাকা ৬৯ পয়সা (লোকসান)। আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে ইপিএস দাঁড়াবে ছয় পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২৬ পয়সা (আইপিও-পূর্ব পরিশোধিত শেয়ারের ভিত্তিতে), আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে যা দাঁড়াবে ১৪ টাকা ৩৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ছিল দুই কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ৯৫০। এর সঙ্গে আইপিও শেয়ার যোগ হলে মোট শেয়ার সংখ্যা দাঁড়াবে চার কোটি। আর চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২১) মেঘনা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের কর-পরবর্তী নেট মুনাফা হয়েছে দুই কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল পাঁচ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ হিসাবে প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির নেট মুনাফা কমেছে তিন কোটি ৯০ হাজার টাকা। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২৯ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল সাত টাকা ২০ পয়সা। আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়াবে ৬৮ পয়সা।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে তহবিল সংগ্রহের পর গতকাল বুধবার থেকে কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে। এর আগে আইপিওতে বরাদ্দ দেয়া শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে পাঠিয়েছে মেঘনা ইন্স্যুরেন্স। আর চলতি বছরের ১১ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়। কোম্পানিটির আইপিওতে ১০ হাজার টাকা আবেদনের বিপরীতে প্রত্যেক সাধারণ বিনিয়োগকারী ২০-২১টি শেয়ার পেয়েছেন। আর বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ২১-২২টি শেয়ার। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮১৩তম কমিশন সভায় মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।