নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ষষ্ঠ ও গৃহগণনা শুরু হয়েছে। বিগত রাত ১২টা এক মিনিট থেকে দেশব্যাপী এ কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। প্রথমবারের মতো এবারের জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে ডিজিটাল মাধ্যমে। এছাড়া দেশি নাগরিকদের পাশাপাশি দেশে বর্তমানে কত সংখ্যক বিদেশি নাগরিক বসবাস করছেন, সে পরিসংখ্যানও উঠে আসবে এবারের শুমারিতে।
গতকাল মঙ্গলবার জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, দেশের সঠিক পরিকল্পনার জন্য সঠিক তথ্য দরকার আর এই তথ্যের সিংহভাগ জোগান দেবে জনশুমারি। এর মাধ্যমে দেশের তথ্যভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়। এ শুমারিতে কোনো ব্যক্তিই দ্বিতীয় বার গণনায় আসবে না। তবে কেউ বাদও পড়বে না, ভাসমান এমককি যারা বিদেশে থাকবে তাদেরও এই গণনায় আনা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিবিএসের মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলামের, জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন ও দীপংকর রয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের জনশুমারিতে ৪৫টি প্রশ্ন থাকবে যা ট্যাবে সংগ্রহ করতে ২২-২৫ মিনিটের সময় লাগবে গণনাকারীর। তাছাড়া ট্যাবে শুমারির তথ্য ছাড়া অন্যকোনো কাজ করা যাবে না। ফলে আমাদের এসব ট্যাবে কোনো সমস্যা হবে না।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন বলেন, জনশুমারির প্রিলিমিনারি প্রতিবেদন ৩ মাসের মধ্যে দেয়া হবে। শুমারির মোট ১৩৩টি প্রতিবেদন থাকবে। যতদ্রুত সম্ভব মূল প্রতিবেদন দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, জনশুমারিতে প্রধান ৩৫টি প্রশ্ন থাকবে, এর পাশাপাশি আরও ১০টি তথ্য নেয়া হবে। ফলে জনশুমারিতে মোট ৪৫টি তথ্য নেয়া হবে। জনশুমারির ওপর যেকোনো দেশের সঠিক পরিকল্পনা নির্ভর করে। আজ রাত ১২টা থেকে ছিন্নমূল মানুষের গণনা শুরুর মধ্য দিয়ে শুরু হবে গণনার কাজ। আর প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি কার্যক্রম পরিচালিত হতে যাচ্ছে। একটি ওয়েবভিত্তিক ইনটিগ্রেটেড সেনসাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) প্রস্তুতসহ জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমে (জিআইএস) গণনা এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের কন্ট্রোল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।
জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে শুমারি কর্মী হিসেবে সারাদেশে প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার গণনাকারী, ৬৪ হাজার সুপারভাইজার এবং বিবিএসের সাড়ে চার হাজারের অধিক কর্মচারী এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবেন। এছাড়া বিবিএসবহির্ভূত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রায় ৯শ কর্মচারী জোনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।