মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগ বাড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধিই আগামী অর্থবছরের বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ। এছাড়া পাচার হওয়া টাকা ৭ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেয়াটা নৈতিকতাবিরোধী এবং সৎ ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হতে পারে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বাজেট সংলাপে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব বিষয় তুলে ধরেছেন।

রাজধানীর লেকশোর হোটেলে গতকাল অনুষ্ঠিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এত প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। আলোচক হিসেবে ছিলেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রহমান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুস্মিতা আনিস ও সোশ্যালিস্ট লেবার ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন।

সংলাপে ‘২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট: প্রধান ছয় চ্যালেঞ্জের স্বীকৃতি এবং প্রস্তাবিত ও গৃহীতব্য পদক্ষেপসমূহ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, আইনজীবী সালমা আলী, সাবেক বাণিজ্য সচিব সোহেল আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বাজেটের ছয়টি চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোকপাত করেন এবং এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যেত, সে বিষয়ে আলোচনা করেন। বাজেটের প্রথম চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে মূল্যস্ফীতিকে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটে উপযুক্ত রূপরেখা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও যেসব পদক্ষেপ নেয়া যেত, সে বিষয়ে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, করমুক্ত আয়সীমা বানানো দরকার ছিল। পাশাপাশি ধনী শ্রেণির করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আগের মতো ৩০ শতাংশ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। এ খাতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিত ছিল। তাহলে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ত। এছাড়া বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে উচ্চহারে শুল্ককর আরোপিত আছে। এগুলোর করহার কমানো হলে তা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতো বলে মনে করেন গোলাম মোয়াজ্জেম। এসবের বাইরে দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার জন্য শুল্ক, ভ্যাট ও কর কাঠামোতে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় গবেষণা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মেলে না। এর অন্যতম কারণ হলো আমাদের বাস্কেট অনেক বড়। গ্রাম-শহর উভয় মিলে অনেক বড় বাস্কেট ধরেই মূল্যস্ফীতি হিসাব করে বিবিএস। কিন্তু আপনারা ছোট বাস্কেট নিয়ে কাজ করেন। বাস্কেটের তারতম্য আছে। চালের দাম বেশি। এর প্রভাব সরাসরি গরিব ও নি¤œ আয়ের মানুষের ওপর পড়াটাই স্বাভাবিক। আপনারা সেই অংশ থেকেই তথ্য নিয়ে মূল্যস্ফীতির প্রভাবটা দেখান। ফলে অনেক বেশি মনে হয়। কিন্তু সার্বিকভাবে হিসাব করলে চিত্র অন্যরকম আসে।

তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি কৃষি, গ্যাস ও বিদ্যুতে যে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে সেটি ঠিক আছে। কেননা এটি দিতে হবে। সমাজের বড় অংশ তাদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা বৈষম্য কমাতে কাজ করছি। খাদ্য নিরাপত্তার কথা ভেবে কৃষি থেকে টান দিয়ে ভর্তুকি সরিয়ে নেয়া যাবে না। রাজস্ব আয় বাড়াতে ভ্যাটের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে। এটাকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নয়। এটা দারিদ্র্য দূর করার একটা সাময়িক পন্থা মাত্র। তবে চা-শ্রমিকদের মতো অন্যান্য শিল্পের শ্রমিকদের জন্যও রেশন কার্ড চালু করা যেতে পারে।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রাদেশিক সরকার প্রয়োজন। যা জাতীয় পার্টি অনেক আগেই বলেছে। বিশেষ করে জাতীয় পার্টির সময়কার উপজেলা ব্যবস্থা এখন ফল দিচ্ছে। আমরা বিচার ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছিলাম। কিন্তু সেটি পরবর্তীতে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির প্রকৃত হিসাব করলে দেখা যাবে দেশে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি আছে। এই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অন্যতম চ্যালেঞ্জ। কিন্তু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। বাজেট প্রণয়ন ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দরকার। কার স্বার্থে ৭ শতাংশ কর দিয়ে পাঁচার হওয়া টাকা বৈধ করার সুযোগ দেয়া হলো? এর মাধ্যমে নীতি নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনির্বাচিত সরকারের দেয়া এই বাজেটে জনগণের চাওয়া পাওয়া উপেক্ষিত হয়েছে। এই সরকার বাজেট দিতে পারে কি না তার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। পদ্মা সেতু করতে ১০ টাকার প্রকল্প ৩০ হাজার টাকা লেগেছে কেন? বলা হচ্ছে এটা নিজেদের অর্থ করা হয়েছে। দেশের সব প্রকল্পই নিজেদের টাকায়ই বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদেশ থেকে যে ঋণ নেয়া হয়, সেটিও দেশের জনগণের অর্থেই পরিশোধ করা হয়। সুতরাং বৈদেশিক ঋণপুষ্ট প্রকল্পও নিজেদের অর্থেই বাস্তবায়ন হচ্ছে। পদ্মা সেতুর বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশ থেকে ঋণ নিলে ১০ হাজার টাকায় হয়ে যেত। সেটিওতো জনগণের টাকা দিয়েই পরিশোধ করা হতো। পদ্মা সেতু নিয়ে প্রশ্ন করছি উত্তর দেন। কিন্তু তা না দিয়ে ষড়যন্ত্র দেখছেন কেন?’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের রিজার্ভ, আমদানি, রপ্তানিসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান সঠিক নয়। তার মতে, বিবিএসের পেছনে টাকা খরচ হয়েছে, কিন্তু সক্ষমতা বাড়েনি। ফলে বিবিএসের পরিসংখ্যান নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে।

কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আন্তর্জাতিক বাজারে চাপ সৃষ্টি করেছে। ফলে দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানি কমানো এবং মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল রাখার চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

রিজওয়ান রহমান বলেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কম থাকায় অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ কমে যাবে। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের জন্য বাজেটে বিশেষ সুযোগ থাকা দরকার। পোশাক খাতের সঙ্গে রপ্তানিমুখী শিল্পের একই করহার করাটা প্রশংসাযোগ্য। কর ব্যবস্থা অটোমেশন করতে হবে। এডিপির বাস্তবায়ন দ্রুত ও স্বল্প খরচে করতে হবে। টাকা পাচার করে ফিরিয়ে আনলে ৭ শতাংশ কর দিতে হবে। কিন্তু আমরা ব্যবসা করতে গিয়ে ২৮ শতাংশ কর দিচ্ছি। এক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতা বাদ দিয়ে টাকা পাচার করে আবার ফিরিয়ে আনলে ১৮ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় হবে। এ রকম উদ্যোগে সৎ ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হবে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘কর্মসংস্থান ও আয়বৃদ্ধিমূলক প্রকল্পে বরাদ্দ কমানো যাবে না। বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমন্বয় একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশকে ১৫-১৬টা প্রদেশে ভাগ করা দরকার। আমলারা বিভাগ করতে আগ্রহী, কারণ বিভাগ করলে তাদের পদসৃজন হয়। কিন্তু সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রদেশ করতে হবে এবং জনগণের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করতে হবে।’ ব্যক্তি শ্রেণির আয়করমুক্ত সীমা ৫ লাখ পর্যন্ত হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া তিনি প্রতিটি ইউনিয়নের সব জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

প্রবন্ধ উপস্থাপনায় দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ বর্ধিত ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, সারে ভর্তুকি বাড়ানোর উদ্যোগ ইতিবাচক। তবে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে যে উদ্যোগ নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে, সে বিষয়ে আপত্তি তোলেন গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, তাড়াহুড়ো করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলে দেশের অর্থনীতিতে নানাভাবে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে করে মূলস্ফীতি আরেক দফা বেড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে জ্বালানি তেলের ভর্তুকি কমানোর জন্য আমদানি পর্যায়ে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব দেন তিনি।

তৃতীয় চ্যালেঞ্জ বৈদেশিক সহায়তার মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের সঠিক ব্যবহার ও প্রাধিকারভুক্ত প্রকল্পগুলোর সময়মতো বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটেও অনেকগুলো প্রকল্পে নামমাত্র বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অনেক বিলম্বিত হয়। আর এসব প্রকল্পগুলো মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় গৃহীত হয়। তাই প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণের পাশাপাশি প্রকল্পগুলো সময় মতো সম্পন্ন করার জন্য উপযুক্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করার বিষয়ে তাগিদ দেন তিনি।

চতুর্থ চ্যালেঞ্জ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বরাদ্দ দেশের মোট জিডিপির এক শতাংশেরও কম। এমনকি এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যেও এ বরাদ্দে বাংলাদেশ পেছনের সারিতে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো সময় মতো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে জোর দেন তিনি। এছাড়া শিক্ষা খাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার সঠিক বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়ার পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন তিনি। পাশাপাশি বিদেশ থেকে যত ধরনের বইপত্র আমদানি করা হয়, সেগুলোর ওপর থেকে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেন তিনি।

পঞ্চম চ্যালেঞ্জ স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ও করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট করহার কমানোর ঘোষণা দিলেও ব্যবসায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার বাস্তবায়ন, কর কাঠামোর সংস্কার ও ব্যবসা সহজীকরণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা না হলে করপোরেট কর হ্রাসের সুবিধা বিনিয়োগকারীরা নিতে পারবেন না। কাজেই করপোরেট কর হ্রাসের সুফল পেতে হলে সমান্তরালভাবে উল্লিখিত উদ্যোগগুলোও বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া বিদেশে পাচার হওয়া টাকা বৈধ করার যুযোগ দেয়া নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে এ ধরনের উদ্যোগ সৎ করদাতাদের অবিচার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ষষ্ঠ ও সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো (এনজিও) বিদেশ থেকে বেশকিছু অনুদান পায়। এর পরিমাণ বছরে প্রায় ৭০ কোটি ডলার। এ অর্থ যাতে সহজে দেশে আসতে পারে, সে জন্য শর্তগুলো শিথিল করার প্রস্তাব দেন তিনি। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার পাশিপাশি তা মুদ্রার বিনিময় হারে কিছুটা সহায়তা করবে বলে উল্লেখ করেন গোলাম মোয়াজ্জেম।

বর্তমানে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো উল্লেখ করেন। এতে দেখা যায়, বর্তমানে অর্থনীতিতে তিনটি ইতিবাচক ধারা রয়েছে। এগুলো হলোÑরাজস্ব আহরণে ইতিবাচক ধারা, রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা ও ব্যক্তি খাতে ঋণের ঊর্ধ্বগতি। এ ছাড়া ছয়টি নেতিবাচক দিক উল্লেখ করা হয়। সার্বিক বিবেচনায় দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বর্তমানে হুমকির মুখে বলে উল্লেখ করেন। অর্থনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের আকাশচুম্বী দাম, ভর্তুকির উচ্চ চাহিদা, মুদ্রার বিনিময় হারে নি¤œগামীতা, বৈদেশিক বাণিজ্যে বিপুল ঘাটতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত হ্রাস পাওয়া ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০