নিজস্ব প্রতিবেদক:‘এল এসক্যোয়ার লিমিটেড’ নামের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে চার কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এসক্যোয়ার নিট কম্পোজিট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সহযোগী কোম্পানিতে অব্যাহত বিনিয়োগের অংশ হিসেবে এল এসক্যোয়ার লিমিটেডে এই বিনিয়োগ করা হচ্ছে, যা আগামীতে রপ্তানির সুযোগ পূরণ করবে এবং কোম্পানির জন্য মুনাফা ও লভ্যাংশ নিশ্চিত করবে। এসক্যোয়ার নিট কম্পোজিট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ১২৪ তম সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোম্পানিটির আরও দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে পূর্বে বিনিয়োগকৃত সমপরিমাণ মূলধন উত্তোলনের ভিত্তিতে ‘এল এসক্যোয়ার লিমিটেড’ নামক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের অর্থায়ন করা হবে।
প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে এসক্যোয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড থেকে তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং এসক্যোয়ার এক্সেসরিজ লিমিটেড থেকে এক কোটি ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা হবে। উল্লেখ্য, ‘এসক্যোয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড’ ও ‘এসক্যোয়ার এক্সেসরিজ লিমিটেড’ নামে এসক্যোয়ার নিট কম্পোজিটের সহযোগী প্রতিষ্ঠান দুটিতে বিনিয়োগ করার পর থেকে কোম্পানি দুটি কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা না করায় এই বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৪৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৩ কোটি ৪৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩৩ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৪ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪১টি শেয়ার মোট ২০৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ৩০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪৪ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১৫ দশমিক ৭৭ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১২ দশমিক ১০।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৬৯ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ৬ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২১-মার্চ, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১৫ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৮৩ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস বেড়েছে ৩২ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ৮৩ পয়সা (পূনর্মূল্যায়ন রিজার্ভসহ)। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৩ পয়সা (ঘাটতি)।
এদিকে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ১৭ পয়সা।