নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে গত এক দিনে ৪৩৩ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা ১৪ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। দৈনিক শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ৭৬ জন বেশি; বৃহস্পতিবার ৩৫৭ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সবশেষ ৮ মার্চ এর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল এক দিনে, সেদিন ৪৪৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে একপর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশ’র নিচে নেমে এসেছিল। সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল চারজনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা ১৫ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে।
১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন আবার ১০০ ছাড়িয়ে যায়। ছয় দিনের মাথায় তা ৪০০ ছাড়াল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ছয় হাজার ৯০৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ওই ৪৩৩ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৮৫ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে চট্টগ্রামে ২৬ জন; কক্সাবাজারে ৯ জন; নারায়ণগঞ্জে পাঁচজন; কিশোরগঞ্জ ও যাশোরে দুজন করে এবং গাজীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও বগুড়ায় একজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বাড়ে ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা আগের দিন ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ ছিল। বৃহস্পতিবার এই হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার আগে প্রায় চার মাস পাঁচ শতাংশের নিরাপদ সীমার মধ্যেই ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪২৭।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৩১ রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৯৩ কভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ পাঁচ হাজার ৭১১ জন সেরে উঠলেন। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ, আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।