বাংলাদেশ-ভারতের ৩০টি আন্তঃসীমান্ত নদী এখনো তালিকাভুক্ত নয়: বাপা সেক্রেটারি

জাবি প্রতিনিধি :বাংলাদেশ -ভারতের মধ্যে অন্তত ৩০ টি আন্তঃসীমান্ত নদী আছে যেগুলো এখনো তালিকাভুক্ত নয়। এই ৩০টি নদী মেঘালয়, আসাম ও ত্রিপুরা থেকে সিলেট বিভাগে প্রবেশ করেছে। এসব নদীতে অপরিকল্পিত বিভিন্ন স্থাপনা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের কারণে বন্যা বিপর্যয় ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল।

বুধবার (২৯ জুন) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আইন ও বিচার বিভাগের অর্ধবার্ষিক বুলেটিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘ Importance of writing in youth activism’  শীর্ষক আলোচনায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শরীফ জামিল আরো বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ৩১০টি। এক জায়গায় এ সংখ্যা ৭০০টি; আবার আরেক জায়গায় নদীর সংখ্যা ১১৮২ টি। যেখানে আমরা নদীর সংখ্যার ব্যাপারেই সিদ্ধান্তে  পৌছাতে পারিনি সেখানে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করব কিভাবে?’

এসময় তিনি আরো  বলেন, ‘আমাদের ১৯৫০ সালের আইন আছে, ৬৬ সালের পোর্ট রুলস আছে। কিন্তু ডেপুটি কমিশনাররা তা যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারেননি। আইন অনুসারে কেউ নদীর সীমানায় প্রবেশ করলে অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত হবে। কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন না হওয়ায় নদীগুলো খাল হয়ে গেছে।’

‘বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে সবগুলো নদীকেই জীবন্ত সত্ত্বা বলা হয়েছে। নদী সংক্রান্ত আমাদের অন্তত ১১টি মন্ত্রণালয় ও ১৭টি বিভাগ আছে। কিন্তু এগুলোর মাঝে সমন্বয় করবে কে?’

এছাড়া অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, ভারতে আন্তঃদেশীয় নদীর স্বেচ্ছাচারী ব্যবহার ও প্রকৃতি-পরিবেশ বিবেচনা না করে অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসময় তিনি পরিবেশ সংরক্ষণে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর জোর দেন তিনি।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন ও বিচার বিভাগের ডীন তাপস কুমার দাস, সহযোগী অধ্যাপক সুপ্রভাত পাল, সহকারী অধ্যাপক প্রীতি কণা শিকদার প্রমুখ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০