শেয়ার বিজ ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার কারণে উত্তর কোরিয়ায় কভিড সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সরকার জানায়, দক্ষিণ কোরিয়াসংলগ্ন সীমান্তের কাছে কিছু ‘বহিরাগত বস্তু’ স্পর্শ করার কারণে তাদের দেশে করোনা ছড়িয়েছে। খবর: রয়টার্স।
কভিড-১৯ সংক্রমণের কারণ জানতে একটি তদন্তের প্রতিবেদনে এমনই উল্লেখ করেছে কিম জং উনের দেশ। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ তদন্তের ফল প্রকাশ করে। এ সময় জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয় পিয়ংইয়ং। বাতাসে কিংবা অন্য কোনো আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় কোনো বহিরাগত বস্তু বা বেলুন এলে তা সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষ ত্যাগ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যাওয়া ব্যক্তি ও অধিকারকর্মীরা সীমান্ত দিয়ে বেলুনে করে নানা লিফলেট ও মানবিক সহায়তা পাঠিয়ে থাকেন। যদিও ২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে।
কেসিএনএ জানায়, গত এপ্রিলের শুরুর দিকে ১৮ বছর বয়সী এক সেনা ও পাঁচ বছর বয়সী এক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থী উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় কুমগাং কাউন্টির সেনা ব্যারাক ও আবাসিক এলাকার পাশের একটি পাহাড়ে অজ্ঞাত বস্তুর সংস্পর্শে আসেন। এরপর তাদের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পরীক্ষা করে জানা যায়, তারা কভিড পজিটিভ।
তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এপ্রিলের মাঝামাঝি কাংওন প্রদেশের ইফোরি এলাকা থেকে রাজধানীর দিকে আসা কয়েক ব্যক্তির জ্বর ছিল। তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ক্রমাগত জ্বরে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ায় যারা জ্বরে আক্রান্ত হন, তাদের অন্য অসুখ ছিল। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি।
কভিড-১৯ মহামারি ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে উত্তর কোরিয়া। গত মে মাসে করোনার প্রকোপ শুরু হলে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে আন্তঃকোরীয় সীমান্তে অবস্থিত কায়েসং শহরে জরুরি অবস্থা ও তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেন কিম। ২০১৭ সালে দেশ ছেড়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যাওয়া এক ব্যক্তি দেশে ফেরার পর তার শরীরে কভিড উপসর্গ দেখা দিলে এ ঘোষণা দেন কিম।
