নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল আজহায় পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের সুবিধার্থে পোশাকশিল্প এলাকায় আগামী শুক্রবার (৮ জুলাই) ও শনিবার (৯ জুলাই) ব্যাংক খোলা থাকবে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘ঈদের আগে তৈরি পোশাকশিল্প-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানি বিল বিক্রয়ের এবং উক্ত শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের তৈরি পোশাকশিল্প-সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ৮ ও ৯ জুলাই পূর্ণ দিবস খোলা রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো। ওই দুই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা চালু থাকবে। তবে ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা সুষ্ঠুরূপে পরিচালনার স্বার্থে উল্লিখিত এলাকার বাইরে অবস্থিত কোনো ব্যাংক শাখার ওপর চেক প্রদান করা যাবে না।’
এছাড়া ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশুহাটে জাল নোট শনাক্ত করতে ব্যাংকগুলোকে বুথ স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ব্যবসায়ীদের বিনা খরচে নোট যাচাই-সংক্রান্ত সেবা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত বুধবার থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহকরা যেন ভোগান্তি ছাড়াই নতুন টাকার নোট সংগ্রহ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের ৪০টি শাখা থেকে এ টাকা ছাড় করা হচ্ছে। তবে একই ব্যক্তি একবারের বেশি নতুন টাকার নোট নিতে পারবেন না।
ঈদ উপলক্ষে আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের শাখায় বিশেষ ব্যবস্থায় ১০, ২০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিনিময় করা হবে। এক ব্যক্তির একাধিকবার নোট উত্তোলনের সুযোগ না থাকলেও তিনি চাইলে কাউন্টার থেকে যে কোনো পরিমাণ ধাতব মুদ্রা নিতে পারবেন। এটিএম বুথ থেকেও গ্রাহকরা নতুন টাকা পাবেন।
