কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় মাচাং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে অধিক লাভ হওয়ায় এখানকার কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে ব্লাকবেরিসহ বিভিন্ন জাতের ১০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন রঙের তরমুজ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুরে চাষ হয়েছে ২ হেক্টর জমিতে। এতে বেশ সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। প্রতি বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আর খরচ বাদ দিয়ে কৃষকদের লাভ হচ্ছে বিঘা প্রতি প্রায় ৮০ হাজার টাকা।
দৌলতপুর উপজেলার শশীধরপুর গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, এ বছর গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। এক বিঘা জমিতে গ্রষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকা আয় করেছেন। তরমুজ চাষ লাভজনক হওয়ায় আগামীতে এ চাষ বৃদ্ধি করবেন তিনি জানান।
দৌলতপুর কৃষি অফিস থেকে সম্রাট নামে এক যুবক ১৫ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের জন্য প্রদর্শনী প্লট নেয়। মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে সে প্রায় ৫০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রয় করেছেন। তার দেখাদেখি অনেক কৃষক তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে সম্রাট জানিয়েছেন।
দৌলতপুর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় তারা তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগও তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।