প্রতিনিধি,লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পানিতে ডুবিয়ে ফাতেমা আক্তার (২০) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় স্বামী শাহজাহানকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত শাহজাহান নোয়াখালীর চরজবলু ইউনিয়নের চরবাগ্যা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
নিহতের বড় বোন রাশেদা বেগম ও মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে শাহজাহানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ওই সময় এক লাখ টাকার মালামাল কিনে ভগ্নিপতি শাহজাহানকে দেওয়া হলেও ফাতেমাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। যৌতুক না পেয়ে বিভিন্ন সময় ফাতেমাকে নির্যাতনও করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। একই বছর ২১ আগস্ট শাহজাহানকে নিয়ে ফাতেমা তার বড়বোন রাশেদা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরদিন সকালে তারা একসঙ্গে ওই বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যায়। এরপর থেকে দু’জনের কেউই ঘরে ফিরে যায়নি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় ফাতেমার মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ওইদিন ফাতেমার ভাই মহিউদ্দিন বাদি হয়ে রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রথমে ফাতেমার মাথায় আঘাত করা হয়। আঘাতের ফলে তার মৃত্যু হয়। ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামগতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আবদুল হাই আদালতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, আদালতে স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে হত্যার ঘটনায় স্বামী শাহজাহান দোষী প্রমাণিত হয়েছে। বিচারক তাকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।